লোকসভার বীরভূমের প্রার্থী শতাব্দী! রাজ্যের মন্ত্রীর মন্তব্যে বিতর্ক
এই সময় | ১০ নভেম্বর ২০২৩
লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা হয়নি। কিন্তু, এখন থেকেই প্রার্থী নির্বাচন থেকে শুরু করে প্রচার, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে রাজনৈতিক দলগুলি।এরই মধ্যে বীরভূম লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী নিয়ে বড় মন্তব্য করলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা! বৃহস্পতিবার সাঁইথিয়ার পরিহারপুর গ্রামে বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দিয়ে তিনি নিজের বক্তব্যে বীরভূম কেন্দ্র থেকে শতাব্দী রায়কে প্রার্থী করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন উপস্থিত দলীয় কর্মীদের কাছে। আর তাতেই অবাক উপস্থিত তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। দলের তরফে এখনও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। সেখানে মন্ত্রীর এই মন্তব্যে অবাক অনেকেই।এই প্রসঙ্গে চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, "আমাদের বক্তব্য পরিষ্কার। আমরা প্রার্থী ঘোষণা করব না। তবে আমাদের 'ডিমান্ড' এখানে শতাব্দী রায় প্রার্থী হোক। তাঁর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল পড়েছে। হাইকমান্ডের নির্দেশ ছাড়াই এভাবে লোকসভার প্রার্থী হিসেবে শতাব্দীকে খুল্লামখুল্লা সমর্থন করা নিয়ে বীরভূমের রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।যদিও এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি শতাব্দী নিজে। তিনি বলেন, “দল যতক্ষণ না কিছু বলছে, ততক্ষণ আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। যিনি একথা বলেছেন, তিনিই এর উত্তর দিতে পারবেন।”এই প্রসঙ্গে অবশ্য রাজ্যের অপর মন্ত্রী তথা বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, "আমরা জেলা কোর কমিটির তরফে চাই, শতাব্দী রায় চতুর্থবারের জন্য এখানে লোকসভার প্রার্থী হোন। সে কথা চিঠি লিখে রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছি। তার ভিত্তিতেই তাঁকে জয়ী করার কথা বলেছি।”উল্লেখ্য, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বোলপুর কেন্দ্রে শতাব্দী রায় প্রার্থী হবেন কিনা তা নিয়ে এখনই তৃণমূলের তরফে কোনও ঘোষণা করা হয়নি। অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বীরভূমে মোটের উপর ভালো ফলাফল করেছে তৃণমূল।কিন্তু, ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের কথায়, পঞ্চায়েতের ফলাফল ধরে লোকসভার আন্দাজ লাগানো সম্ভব নয়। ২০২১ সালের বিধানসভার ফল বলছে রামপুরহাট, সিউড়ি এবং সাঁইথিয়া এই তিনটি পুরসভাতেই পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। অন্যদিকে, এই মুহূর্তে বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল রয়েছেন সংশোধনাগারেই।সেক্ষেত্রে বীরভূমে লোকসভা নির্বাচনে কাকে প্রার্থী করে রাজ্য শাসক দল, সেই দিকে নজর রাজনৈতিক মহলের। এরই মধ্যে রাজ্যের মন্ত্রীর মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।