• 'এবার হরকালীর পালা...', তন্ময় ঘোষের সঙ্গে সঙ্গে দলত্যাগী বিধায়ককেও হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
    এই সময় | ১০ নভেম্বর ২০২৩
  • কোতুলপুরের পর বৃহস্পতিবারের বিজয়া সম্মিলনী থেকে আক্রমণাত্মক শুভেন্দু অধিকারী। শুধু শাসকদল নয়, বিরোধী দলনেতার এদিনের নিশানায় সিংহভাগই ছিল দলত্যাগী বিধায়কেরাই। বিষ্ণুপুর থেকে কোতুলপুরের বিজেপি ত্যাগী বিধায়কেরাই নিশানায়।বৃহস্পতিবার বিষ্ণুপুরে দলের বিজয়া সম্মিলনীতে বক্তব্য রাখছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, 'কাল থেকে চার চোর, ধান চোর, মদবালার কি হচ্ছে? কেমন লাগছে এখন!' নাম না করে বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষকে এই ভাষাতেই বিঁধলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন সদ্য দলবদলু বিজেপি কোতুলপুরের বিধায়ক হরকালী প্রতিহারকেও এক হাত নেন। ২০২১ এর নির্বাচনে তাঁর 'ধার' শুভেন্দু অধিকারী নিজে শোধ করেছেন দাবি করে বলেন, 'এবার হরকালীর পালা। হরকালীকে এবার হরিবোল বলাব।'প্রসঙ্গত, গত বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত বিধায়ক তন্ময় ঘোষের বাড়ি, চালকল, মদ দোকান সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে আয়কর দফতর। এদিন সকাল থেকে বিধায়ক তন্ময় ঘোষকেও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন আয়কর দফতর। এর মাঝেই পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী এদিন বিষ্ণুপুরে আসেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি রাজ্যে রেশন দুর্নীতি নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন, 'মোদিজী ছিলেন বলেই ধান চোর, চাল চোর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আজ জেলে। না হলে তা সম্ভব হত না।'পরে এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র প্রসঙ্গে বলেন, 'দেশের নিরাপত্তার প্রশ্নে যে ধরনের হঠকারী ও দেশ বিরোধী কাজ এই সাংসদ করেছেন তাতে তাঁর সাংসদ পদ যাওয়া উচিত।' এখানেই থেমে থাকেননি শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, সাংসদ মহুয়া মৈত্রের জেল হওয়া উচিত। অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দু বলেন,'এই সরকারের সঙ্গে জঙ্গি যোগ রয়েছে। এমনকি অভিষেক প্রশ্নে কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে তিনি রাজী হননি, বলেন কর্মচারীর কোন প্রশ্নের উত্তর দেব না। আমি ওঁর মালিককে হারিয়েছি।'গঙ্গাজলঘাটির মৃত বিজেপি নেতার পরিজনের সঙ্গেও এদিন দেখা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গঙ্গাজলঘাটির মৃত বিজেপি নেতা শুভদীপ মিশ্রের বাবাকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'আপনাদের সঙ্গে দল আছে।' বৃহস্পতিবার বিষ্ণুপুরে বিজেপির বিজয়া সম্মিলনী মঞ্চে তিনি এই আশ্বাস দেন। একই সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী এদিন মৃত ওই বিজেপি নেতার বাবার হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, বুধবার গঙ্গাজলঘাটি থানার নিধিরামপুর গ্রামের একটি গাছে হাত বাঁধা অবস্থায় বিজেপি নেতা শুভদীপ মিশ্রের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এরপরই বিজেপির তরফে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ওই ঘটনা বলে দাবি করা হয়। এদিন শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, ছুটির পর আদালত খুললেই বিজেপি সিবিআই তদন্তের আবেদন জানাবে। বিষয়টিকে যতোই 'অরাজনৈতিক' আখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করা হোক বিজেপি লড়বে বলে তিনি জানান।
  • Link to this news (এই সময়)