পালিত হল গোপাষ্টমী! দিকে দিকে 'গোমাতা'কে খাওয়ানো, পুজো, নানা আয়োজন...
২৪ ঘন্টা | ২১ নভেম্বর ২০২৩
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কার্তিক মাসের অষ্টমী তিথি গোপাষ্টমী নামে খ্যাত। ছট পুজোর পরে এই অনুষ্ঠান হয়। গোপষ্টমী শ্রীকৃষ্ণ ও গরুকে মনে রেখে পালন করা হয়। যখন কৃষ্ণের পিতা নন্দ মহারাজা কৃষ্ণকে বৃন্দাবনের গরু দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন, সেই সময়টাকেই গোপাষ্টমী পালনের দিনতিথি মনে করা হয়। তখন কৃষ্ণ মাত্র ৫ বছরের বালক।
সেই ঘটনাকে মনে রেখে এই আধুনিক সময়েও এই দিনটিতে গো-পূজা করা হয়। ভক্তেরা বিভিন্ন গোশালা পরিদর্শন করেন, গরুদের স্নান করান, গোশালা পরিষ্কার করেন। গরুকে সজ্জিত করা হয়। বিশেষ পশুখাদ্য খাওয়ানো হয়।সেই ঐতিহ্য মনে রেখেই সারা বাংলায় বিভিন্ন জায়গায় এদিন গোপাষ্টমী পালন করা হয়। সেই মতো প্রতি বছরের মতো এবছরও গোপাষ্টমী অনুষ্ঠিত হল হাওড়ার লিলুয়া গোশালায়। হল মেলাও। অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন বহু মানুষ। এই আয়োজনের উদ্যোক্তা ক্যালকাটা পিঞ্জরাপোল সোসাইটি। উদ্যোক্তারা জানান, ১৮৯০ সালে এই সোসাইটি তৈরি হয়েছিল। গরুকে দেবতারূপে পুজো করে তারা। হাওড়ার লিলুয়া-সহ সাত জায়গায় তাদের শাখা রয়েছে। সারা বছর তারা গরুর সেবা করে। তবে এই গোপাষ্টমীর দিনে গরুদের পুজো করা হয়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে বিভিন্ন অনুষ্ঠান। পুজো দিতে আসেন অসংখ্য মানুষ।কার্তিক মাসের এই অষ্টমী তিথিতে মেলা হয় সোদপুর গোশালাতেও। ১৮৮৫ সালে তৈরি হয়েছিল সোদপুর কলকাতা পিঞ্জারাপোল সোসাইটি। সেই হিসেবে এই সংস্থার বয়স ১৩৯ বছর। আজকে দিনে, মানে গোপাষ্টমীর দিনে এই গোশালায় হয় তুলাদান। অর্থাৎ, কোনও ব্যক্তির যা ওজন হবে, সেই পরিমাণ গোখাদ্য এখানকার গোরুদের খাওয়ানো হবে। সেই ব্যক্তি বা তাঁর পরিবার নিজের হাতে সেগুলি গরুকে খাওয়ান। এছাড়াও হয় ছাপ্পান্ন ভোগের আয়োজন। ভোগে থাকে বিভিন্ন প্রকারের ডাল, কাজু-কিসমিস, বিভিন্ন প্রকার ফল। ভক্তেরা আসেন এবং ভক্তিভরে তা 'গোমাতা'কে খাইয়ে যান। অনেকে জায়গাটিকে বৃন্দাবনের সঙ্গেও তুলনা করে থাকেন।