• সরিয়ে ফেলা হচ্ছে বিশ্বভারতীর বিতর্কিত ফলক, নতুনে শুধুই থাকছে বিশ্বকবির নাম
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২১ নভেম্বর ২০২৩
  • বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিতর্কিত ফলক সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যে তকমা ইউনেস্কো দিয়েছিল, ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসাবে সেখানে নিজের নাম বসিয়ে দিয়েছিলেন প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। একইসঙ্গে সেই ফলকে ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম। অথচ আশ্চর্যজনকভাবে ছিল না বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম। এই নিয়ে বিতর্ক চরমে উঠেছিল। এমনকী এই নিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়। যার জন্য আজ তিন ঘণ্টা পুলিশের জেরার মুখোমুখি হন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। আবার ২২ নভেম্বর পুলিশের জেরার মুখোমুখি হবেন। তবে আজ, সোমবার বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে নতুন ফলক বসানো হবে।

    পুরনো ফলক সরিয়ে ফেলা হবে। আর নতুন ফলকে শুধুই থাকবে কবিগুরুর নাম। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। চারদিন হয়েছে নতুন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য যোগ দিয়েছেন এখানে। এবার এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে সঞ্জয়কুমার মল্লিককে নয়াদিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের পক্ষ থেকে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যকে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। ১৯২১ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলেছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। নোবেলজয়ী এই কবির নামই সেখান থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল।

    এদিকে এই বিতর্কে জল অনেকদূর পর্যন্ত গড়িয়েছিল। তবে নতুন এই উপাচার্য আসতে সেই বিতর্ক অনেকটা কমেছে। কারণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিতর্কিত ফলক সরিয়ে দেওয়া হবে। এই বিষয়ে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। এই বিবৃতি জারি করেছেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে লেখা আছে, ‘‌উপাচার্যের পরামর্শে নতুন করে ফলক বসানো হবে। বিশ্বভারতীকে যে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট বলে ইউনেস্কো ঘোষণা করেছে সেটি আবার নতুন করে লিখে বসানো হবে। আর সেটি করা হবে দ্রুততার সঙ্গে। এই ফলকে তিনটি ভাষায় লেখা থাকবে। বাংলা আগে তারপর হিন্দি এবং ইংরেজি। এই গোটা বিষয়টি কমিটি ঠিক করে করবে।’‌

    অন্যদিকে এই নতুন ফলকে থাকবে না প্রধানমন্ত্রী নাম। থাকবে না উপাচার্যের নাম। এখানে শুধু থাকবে কবিগুরুর নাম বলে জানা গিয়েছে। বাংলায় একটা বড় লেখা থাকবে। যার মাধ্যমে বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য সবার সামনে তুলে ধরা হবে। তারপর ইংরেজি এবং হিন্দিতেও তা অনুবাদ করে লেখা থাকবে। তবে সেটা ফলকে থাকবে না। স্টিলের উপর খোদাই করে লেখা থাকবে। গোটা বিষয়টি দেখছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)