রবিবার আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ ফাইনাল চলাকালীন এক বিদেশি দর্শক মাঠে ঢুকে বিরাট কোহলিকে জড়িয়ে ধরেন। ক্রিকেটের মাঠে এমন ঘটনা নতুন কিছু নয়। প্রায়শই তারকা ক্রিকেটারদের ভক্তরা নিজেদের হিরোর কাছে গিয়ে সাক্ষাৎ করার চেষ্টা করেন মাঠে ঢুকে। তবে এক্ষেত্রে বিষয়টি তেমন কিছু নয়। বরং আয়োজকদের বিব্রত করার মতো গুরুতর ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে বিষয়টি।
আসলে এক বিদেশি দর্শক নিরাপত্তারক্ষীদের নাগাল এড়িয়ে মাঠে ঢুকে পড়েন, যাঁর উদ্দেশ্য ছিল প্যালেস্তাইনের উপর ইজরায়েলের আক্রমণের প্রতিবাদ করা। এমনিতে খেলার মাঠে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে প্রচার একেবারেই বরদাস্ত করে না আইসিসি। তার উপর বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো সর্বোচ্চ মঞ্চে এমন ঘটনা আয়োজকদের লজ্জায় ফেলবে নিশ্চিত।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বিশ্বকাপ ফাইনাল ঘিরে স্টেডিয়ামে তারকার মেলা বসে। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের হেভিওয়েট ব্যক্তিরা খেলা দেখতে উপস্থিত ছিলেন স্টেডিয়ামে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন গ্যালারিত। এমন পরিস্থিতিতে মোতেরাকে কার্যত দুর্গে পরিণত করা হয়েছিল। নিরাপত্তা নিয়ে কোনও আপোষ করা হবে না বলে বহু আগে থেকেই জানিয়ে দেওয়া হয় গুজরাট সরকারের তরফে। তার পরেও এমন ঘটনা নিরাপত্তার ফস্কা গেরোর দিকটিকেই তুলে ধরে।
রবিবার মাঠে কী ঘটে, সেটা দেখেছেন সবাই। তবে পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে, যাতে দেখা যায় কীভাবে বেড়া টপকে ঝাঁপিয়ে পড়ে মাঠের ভিতরে ঢুকে যান সেই বিদেশি দর্শক। কীভাবে নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে আটকাতে ব্যর্থ হন।
সেই বিদেশি দর্শক গ্যালারির একেবারের নীচের দিকে বসেছিলেন। হঠাৎই উঠে দাঁড়িয়ে তিনি লাফিয়ে লোহার বেড়া টপকান। সেখানেই তাঁকে ধরার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন এক নিরাপত্তারক্ষী। পরে বাউন্ডারির লাইন টপকানোর আগেই বেশ কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী তাঁকে ধাওয়া করেন। তবে তাঁদের নাগাল এড়িয়ে সেই দর্শক মাঠে ঢুকে পড়েন এবং সোজা পৌঁছে যান ব্যাটার বিরাট কোহলির কাছে।
পরে সেই বিদেশি দর্শকের পরিচয় জানা যায়। চিনা-ফিলিপাইন বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকের নাম ওয়েন জনসন। ঘটনার পরেই সেই দর্শককে গ্রেফতার করে পুলিশ। মাঠে ঢোকা সেই দর্শক একটি সাদা রঙের টি-শার্ট পরেছিলেন, যার সামনের দিকে লেখা ছিল, স্টপ বম্বিং প্যালেস্তাইন অর্থাৎ, প্যালেস্তাইনে বোমা ফেলা বন্ধ করা হোক। টি-শার্টের পিছনে প্যালেস্তাইনের পতাকা আঁকা ছিল এবং সঙ্গে লেখা ছিল, ফ্রি প্যালেস্তাইন।