মাছচাষে ক্রমেই আগ্রহ বাড়ছে যুবকদের, রেকর্ড উৎপাদনেও
বর্তমান | ২১ নভেম্বর ২০২৩
সৌম্যজিৎ সাহা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মাছ চাষে আগ্রহ বাড়ছে যুবদের। তার জেরেই ২০২২-’২৩ সালে চাহিদার তুলনায় বেশি মাছ উৎপাদন হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। ওই আর্থিক বছরে সব মিলিয়ে ২ লক্ষ ৮৮ হাজার ১৭২ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়েছে। এই পরিমাণ গতবারের তুলনায় অনেকটাই বেশি। যা রেকর্ড তৈরি করেছে। আধিকারিকদের মতে, মাছ চাষের জন্য এগিয়ে আসছেন অনেক যুবক। বাড়তি রোজগারের তাগিদে হাতেকলমে শিখে তাঁরা নিজেরাই বাড়িতে মাছের প্রতিপালন করছেন। তারপর ভালো দামে বিক্রি করছেন তাঁরা।
এই জেলার মৎস্যজীবীদের একটি বড় অংশ সমুদ্রে যায় মাছ ধরতে। সামুদ্রিক মাছের জোগান ভালো। তবে ভেড়ি ও পুকুরেও অনেক বেশি মাছ চাষ হয়। সব মিলিয়ে মাছের উৎপাদন রেকর্ড তৈরি করেছে। দেখা যাচ্ছে, ২ লক্ষ ৮৮ হাজার ১৭২ মেট্রিক টনের মধ্যে সমুদ্র থেকে মাছ উঠেছে ৫০ হাজার মেট্রিক টন। বাকিটা পুরোটাই এসেছে ভেড়ি ও পুকুরে মাছ চাষ থেকে।
জেলার মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুনদের মাছ চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই নিজের উদ্যোগে মাছ চাষ করতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন দপ্তরে। এছাড়াও ঋণ নিয়ে কীভাবে এই কাজ করা যায়, সেকথাও জানতে চেয়েছেন অনেকে। বিরোধী দলের সদস্যরা আবার এনিয়েও কটাক্ষ করেছেন। তাঁরা বলেছেন, রাজ্যে চাকরির বাজার খারাপ। সেই কারণে ডিগ্রিধারী যুবকরাও পেটের টানে এই পেশায় আসতে বাধ্য হয়েছেন।
এবার মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির আরও একটি কারণ রয়েছে। আধিকারিকরা বলেন, ‘রিপিটেড স্টকিং এবং রিপিটেড হারভেস্টিং’ পদ্ধতিতে এবার মাছ চাষ করা হয়েছে। সেটি হল, তিন মাস অন্তর সংশ্লিষ্ট মৎস্যজীবীকে তাঁর ভেরি কিংবা পুকুর থেকে মাছ তুলে বিক্রি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারপর ফের নতুন করে চারা ছেড়ে প্রতিপালন করতে বলা হয়েছিল তাঁদের। অর্থাৎ বছরে চারবার তিনি মাছ বিক্রি করার সুযোগ পেয়েছেন। এতে যেমন উৎপাদন বৃদ্ধি হয়েছে, তেমনই আয় বেড়েছে মৎস্য চাষিদের। আগে বছরে একবারই মাছ তুলে তা বিক্রি করার চল ছিল।