অন্তর্বাসে লুকিয়ে পাচার, ৫৮ লক্ষ টাকার ‘সোনার পেস্ট’ সহ ধৃত যুবক
বর্তমান | ২১ নভেম্বর ২০২৩
নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: পেট্রাপোল সীমান্তে ভিন রাজ্যের এক যুবকের থেকে ৫৮ লক্ষ টাকার ‘সোনার পেস্ট’ বাজেয়াপ্ত করল বিএসএফ। জেলি জাতীয় কোনও জিনিসের সঙ্গে সোনার গুঁড়ো দিয়ে ওই পেস্ট তৈরি করা হয়েছিল। অন্তর্বাসে লুকিয়ে ওই সোনা পাচার করছিল সে। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। বাংলাদেশ থেকে সে কলকাতায় ওই সোনা নিয়ে আসছিল। কাজ হাসিল করলে সে ২০ হাজার টাকা কমিশন পেত বলে বিএসএফকে জানিয়েছে। বিএসএফ জানিয়েছে, ধৃত যুবককে ও বাজেয়াপ্ত সোনা পেট্রাপোলে শুল্কদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বাংলাদেশ থেকে আগত যাত্রীদের রুটিন তল্লাশি করা হচ্ছিল। বিএসএফ জওয়ানরা মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ওই যুবককে পরীক্ষা করার সময় বুঝতে পারেন, তার শরীরে কোনও ধাতব পদার্থ রয়েছে। এরপরই অন্তর্বাস থেকে প্যাকেটে মোড়া ওই সোনার পেস্ট উদ্ধার হয়। ওই সোনার ওজন ৯৪৯ গ্রাম। বর্তমান বাজার দর প্রায় ৫৮ লক্ষ ৩৬ হাজার ৩৫০ টাকা। ধৃত কেরলের যুবক জেরায় বিএসএফকে জানিয়েছে, সে দুবাই থেকে বিমান করে বাংলাদেশের ঢাকায় ফিরছিল। দুবাই বিমান বন্দরেই একজনের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল। সেই সোনার পেস্ট পাচার করার জন্য তাকে ‘অফার’ দেয়।
২০ হাজার টাকা কমিশনের কথা শুনে সে রাজিও হয়ে যায়। তারপর দুবাই থেকে সে বিমানে করে ঢাকায় পৌঁছয়। সেখান থেকে বাসে করে পৌঁছয় বাংলাদেশের বেনাপোল স্থলবন্দরে। কিন্তু, নিরাপত্তা সংক্রান্ত চেকিং এলাকা পার হওয়ার সময়ই সে ধরা পড়ে। জওয়ানদের এই সাফল্যে খুশি বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের জন সংযোগ আধিকারিক, ডিআইজি এ কে আর্য। তিনি বলেন, কুখ্যাত চোরাকারবারিরা গরিব ও নিরীহ মানুষকে কিছু অর্থের প্রলোভন দিয়ে ফাঁদে ফেলে। কারণ, কুখ্যাত চোরাকারবারিদের দল সরাসরি চোরাচালানে জড়িত থাকে না। তাই তারা গরিব, সাধারণ মানুষকেই টার্গেট করে।