• উত্তরাখণ্ডে চওড়া পাইপলাইন দিয়ে প্রথম খাবার দেওয়া হল শ্রমিকদের
    বর্তমান | ২১ নভেম্বর ২০২৩
  • উত্তরকাশী: সিল্কয়ারায় সুড়ঙ্গে আটক শ্রমিকদের উদ্ধারে সোমবার প্রথম বড় ধরনের সাফল্য মিলল। ন্যাশনাল হাইওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের ডিরেক্টর অংশু মণীশ খালকো একথা জানিয়েছেন। এদিনই উদ্ধারকারী দল ছয় ইঞ্চি চওড়া পাইপলাইন ওই সুড়ঙ্গে ঢোকাতে পেরেছে। এর ফলে ওই পাইপলাইন দিয়ে আটকে থাকা শ্রমিকদের খিচুড়ির মতো খাবার দেওয়া সম্ভব হল। শুধু তাই নয়, ওই আটক শ্রমিকদের লাইভ ভিস্যুয়াল দেখা সম্ভব হচ্ছে। এর আগে চার ইঞ্চির পাইপ দিয়ে অক্সিজেন, ড্রাই ফ্রুটসের মতো খাবার শ্রমিকদের দেওয়া হচ্ছিল। শ্রমিকদের উদ্ধারে পাঁচটি বিকল্প উপায়ের ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্র। প্রত্যেকটি কাজের জন্য আলাদা আলাদা সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ডিআরডিও-এর রোবট ও ড্রোন। 

    সিল্কয়ারায় সুড়ঙ্গের মধ্যে আটকে থাকতে থাকতে হয়তো বাঁচার আশাই ছেড়ে দিতে পারেন ৪১জন শ্রমিক। তাই আটক শ্রমিকদের মনোবল চাঙ্গা রাখার উপরই এখন জোর দিচ্ছে প্রশাসন। সোমবার উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির সঙ্গে মতামত বিনিময়ের সময় আটকদের মনোবল চাঙ্গা রাখার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। এই নিয়ে তিনবার সু‌ড়ঙ্গ দুর্ঘটনা বিষয়ে ধামির সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী। আটকে পড়া শ্রমিকরা সুস্থ রয়েছেন বলে প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছেন, কর্মীদের অক্সিজেন, পুষ্টিকর খাবার এবং পানীয় জল সরবরাহ করা হচ্ছে। 

    দুর্ঘটনার পর আটদিন অতিক্রান্ত। এখনও আটক শ্রমিকদের বার করা নিয়ে কোনও অগ্রগতি হয়নি। এই অবস্থায় আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞের সহায়তা নিল প্রশাসন। এদিনই সুড়ঙ্গ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সিল্কয়ারা যান ইন্টারন্যাশনাল টানেলিং আন্ডারগ্রাউন্ড স্পেস অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান আর্নল্ড ডিক্স। এলাকা খতিয়ে দেখে সুড়ঙ্গ বিশেষজ্ঞ ডিক্স বলেন, ‘শ্রমিকদের নিরাপদে বার করা নিয়ে অনেক কাজ হয়েছে। পুরো টিম নিয়ে আমরা এখানে রয়েছি। শ্রমিকদের কাছে পৌঁছানোর বিকল্প পদ্ধতির কথা ভাবা হচ্ছে।’ এতদিন যেভাবে খাদ্য এবং ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে, তা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ডিক্স। তবে তিনি এখনও নির্দিষ্ট কোনও সুপারিশ করেননি বলেই খবর। 

    শ্রমিকদের কাছে পৌঁছানো নিয়ে প্রশাসনের প্রচেষ্টা থেমে নেই। সূত্রের খবর, পাঁচটি ক্ষেত্র থেকে কাজ চলছে। পর্বতের মাথায় যাতে সুড়ঙ্গ খননের সরঞ্জাম নিয়ে উদ্ধারকারীরা পৌঁছতে পারেন, তার জন্য রাস্তা তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করেছে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন (বিআরও)। পর্বতের উপর থেকে ড্রিল করে পাইপ পৌঁছানো হবে অভিশপ্ত সুড়ঙ্গে। এই পাইপকেই লাইফলাইন হিসেবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে। সুড়ঙ্গ যাতে ভঙ্গুর হয়ে না পড়ে, তারও চেষ্টা চলছে। উপযুক্ত পরিস্থিতি দেখা দিলে ড্রিল মেশিন ‘মার্কিন অগার’ আবার আনুভূমিকভাবে খননের কাজ শুরু করবে। 
  • Link to this news (বর্তমান)