• সুদ বাড়লেও ঋণের চাহিদা তুঙ্গে, দেশে উল্টো প্রবণতা হোম লোনে
    বর্তমান | ২১ নভেম্বর ২০২৩
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ২০২২ সালের মে মাস থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ধাপে ধাপে রেপো রেট বাড়িয়ে গিয়েছে। একবছরের মধ্যে তা বেড়েছে আড়াই শতাংশ। তার প্রভাব সরাসরি পড়েছে সব ধরনের ঋণের উপর। কিন্তু তারপরও ঋণের চাহিদা তুঙ্গে। চলতি বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক, অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত সময়কে ধরে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে ট্রান্সইউনিয়ন সিবিল। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, ক্রেডিট কার্ড বা পার্সোনাল লোন—ঋণের চাহিদা বেড়েছে সর্বত্রই। শুধু এই স্রোতের উল্টোপথে হেঁটেছে গৃহঋণ, বলছে সিবিল। সেখানে ঋণের চাহিদা ঋণাত্মক। কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে গাড়িঋণও।

    সাধারণ মানুষ থেকে শিল্প সংস্থা—ঋণ গ্রহণের ক্ষমতা যাচাইয়ের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে কাজ করে এই সিবিল। যাঁরা ঋণ নিচ্ছেন, তাঁরা আদৌ তা শোধ করতে পারবেন কি না, সেই আর্থিক ক্ষমতা যাচাইয়ে ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি সিবিলের ‘স্কোর’ বা রিপোর্টের উপর নির্ভর করে। এদিকে কোন ক্ষেত্রে কারা কত ঋণ নিচ্ছেন, তার উপর একটি রিপোর্ট নিয়মিত প্রকাশ করে সিবিল। তাদের বক্তব্য, ২০২২ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের তুলনায় সার্বিকভাবে খুচরো ঋণ বৃদ্ধির হার ১৫ শতাংশ। পাশাপাশি তাদের বক্তব্য, একই ব্যক্তি একাধিক ক্ষেত্রে ঋণ নিচ্ছেন। ঋণের মেয়াদও কম। অন্যদিকে প্রথমবার ঋণের আবেদন করছেন, এমন মানুষের হার কার্যত স্থির হয়ে আছে বলে দাবি তাদের। 

    এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত হিসেব বলছে, সম্পত্তি বন্ধক রেখে ঋণ নেওয়ার হার বেড়েছে ৭ শতাংশ। অঙ্কের নিরিখে সেই হারের বৃদ্ধি ১২ শতাংশ। চার চাকা গাড়ির ক্ষেত্রে আবার ঋণ গ্রহীতার হার ৩ শতাংশ কমেছে। তবে মোট ঋণের অঙ্কের নিরিখে সেই হার বৃদ্ধি পেয়েছে ১৩ শতাংশ। দু’চাকা গাড়ির ক্ষেত্রে অবশ্য ঋণের সংখ্যা ও টাকা, দু’টিই সদর্থক। এক্ষেত্রে ঋণের গ্রহণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে ৫ শতাংশ। টাকার অঙ্কে বৃদ্ধি ১৮ শতাংশ। ব্যক্তিগত ঋণের ক্ষেত্রে গ্রাহক বেড়েছে ২২ শতাংশ। কিন্তু ঋণের অঙ্কে সেই বৃদ্ধির হার ১৩ শতাংশ। ঋণ নিয়ে বাড়ির ব্যবহার্য যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে সেই হার যথাক্রমে ১৫ ও ১১ শতাংশ। ১২ শতাংশ বেড়েছে ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহক। কিন্তু এসবেরই উল্টোপথে হেঁটেছে গৃহঋণ। গৃহঋণ গ্রাহকের হার কমেছে ১২ শতাংশ। সেটা ৬ শতাংশ কমেছে অঙ্কের নিরিখে।
  • Link to this news (বর্তমান)