• জিপিএস যন্ত্রের কামাল, চুরি যাওয়া, লরি পরদিনই ফিরে পেলেন মালিক
    বর্তমান | ২১ নভেম্বর ২০২৩
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: ছ’চাকা লরিতে গোপনে বসানো ছিল জিপিএস যন্ত্র। আর তার ফল হাতেনাতে পেলেন লরির মালিক। মাঝরাতে মোবাইলে সেই জিপিএস অন করতেই দেখলেন, লরি দ্রুতগতিতে ছুটছে রাস্তায়। এত রাতে ড্রাইভার বাড়িতে, তারপরেও কীভাবে লরি ছুটছে? অবাক লরির মালিক। মোবাইল অফ করে ফের অন করে জিপিএস চালালেন তিনি। তখনও দেখলেন, গাড়ির গতি ৭০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। আর অপেক্ষা করেননি। বাইক নিয়ে সোজা চলে আসেন থানায়। তারপর পুলিসি সহযোগিতায় সোমবার সকালে দেগঙ্গা থেকে নিজের লরি ফিরে পেলেন নদীয়ার চাকদহের ব্যবসায়ী মানিক সাহা। পাশাপাশি চুরির অভিযোগে দু’জনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতদের নাম রাজেশ মিত্র (২৭) ও সাদেক আলি শেখ (২৩)। দু’জনেরই বাড়ি বারাসতে।

    জানা গিয়েছে, নদীয়ার চাকদহ চটকাতলা এলাকার বাসিন্দা মানিক সাহা। রবিবার দুপুর থেকে বাড়ির কিছুটা দূরে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর লরিটি রাখা ছিল। গাড়িতে গোপনে বসানো ছিল জিপিএস ডিভাইস। মানিক বলেন, রাত দুটো নাগাদ জিপিএস অন করি। দেখি ৬০-৭০ কিলোমিটার বেগে লরিটি হাবড়া এলাকায় চলছে। অবাক হয়ে যাই। এরপর গাড়ি যেখানে রাখা ছিল সেখানে গিয়ে দেখি লরি নেই। সঙ্গে সঙ্গে চাকদহ থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাই। তখন জিপিএস ট্র্যাক করে জানা যায়, গাড়িটি দেগঙ্গা থানার আমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদপুর এলাকায় পৃথিবা রোড ধরে যাচ্ছে। চাকদহ থানা থেকে খবর দেওয়া হয় দেগঙ্গা থানায়। দেগঙ্গা থানার পুলিস লরিটিকে উদ্ধার করে। আমি এদিন তা ফিরে পেয়েছি।

    দেগঙ্গা থানার পুলিস জানিয়েছে, ধৃতদের বিরুদ্ধে আগেও বিভিন্ন চুরির অভিযোগ রয়েছে। এদিন রাতে চাকদহ থানা থেকে খবর পাওয়ার পরেই আমরা তল্লাশি শুরু করি। তখন আমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদপুর এলাকায় ওই লরিটি দাঁড়িয়েছিল। শেষ হয়ে গিয়েছিল লরির জ্বালানি। গাড়ির চালক ও খালাসিকে জিজ্ঞাসা করতে ওরা চুরির কথা স্বীকার করে। পরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পাশাপাশি নিয়ম মেনে লরিটি মালিকের হাতে তুলেও দেওয়া হয়।
  • Link to this news (বর্তমান)