সোদপুর, দমদম থেকে এসেছে কেপমার গ্যাং, কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পুজোয় তৎপর পুলিশ
হিন্দুস্তান টাইমস | ২১ নভেম্বর ২০২৩
গতবছর কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোয় দাপিয়ে বেরিয়েছিল পকেটমার গ্যাং। মূলত ভিড়ের সুযোগেই সক্রিয় থাকে এই গ্যাং। এবার জগদ্ধাত্রী পুজোয় পুরনো সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ব্যাপক ভিড় হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে কেপমারদের গ্যাং এবার আরও বেশি সুখে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা পুলিশের। তাই দর্শনার্থীদের সুরক্ষায় এবার বিশেষভাবে তৎপর হয়েছে পুলিশ প্রশাসন। এর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, জগদ্ধাত্রী পুজোর ভিড়ে কেপমারির উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যেই সোদপুর এবং দমদম থেকে বেশ কয়েকটি গ্যাং কৃষ্ণনগরে প্রবেশ করেছে। তাদের লক্ষ্য হল ভিড়ের মধ্যে ঢুকে গিয়ে দর্শনার্থীদের মানিব্যাগ, টাকা, ঘড়ি, সোনার চেন, মোবাইল বা অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী। দর্শনার্থীরা যেহেতু ভিড়ের মধ্যে ঠাকুর দর্শনে ব্যস্ত থাকবেন তাই সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে চাইছে এই সমস্ত গ্যাং। তাই ভিড়ের মধ্যে এই পকেটমারদের আটকাতে সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এর পাশাপাশি মহিলাদের সুরক্ষার জন্য সাদা পোশাকে মহিলা পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এছাড়া, ভিড় সামালাতে সোমবার বিকেল থেকেই শহরে যান প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। ভারী যানবাহন শহরে প্রবেশ নিষেধ থাকবে এই কয়েকটা দিন। টোটোর ক্ষেত্রেও বিধি নিষেধ জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ির ক্ষেত্রেও রয়েছে বিধিনিষেধ।
কৃষ্ণনগরের হাই স্ট্রিট, পোস্ট অফিস মোড়, সদরের মোড়, নেদের পাড়া, রাজবাড়ি এলাকায় দর্শনার্থীদের ভিড় বেশি হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, এইসব গ্যাংয়ের ভিড়ের মধ্যে ঢুকে গিয়ে হাত সাফাইয়ের দক্ষতা রয়েছে। তাই বড় পুজোগুলির পাশাপাশি ছোট পুজোগুলিতেও থাকছে বিশেষ নজরদারি। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) সঞ্জয় কুমার মাকওয়ান জানান, এবার জগদ্ধাত্রী পুজোকে লক্ষ্য করে আগে থেকেই অনেক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পকেটমারদের থেকে সুরক্ষা দিতে বাড়তি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশের এই ব্যবস্থায় খুশি দর্শনার্থীরা। তবে তারা আশঙ্কা মুক্ত হতে পারছেন না। এছাড়া কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর ঐতিহ্যবাহী জাগ্রত দেবী বুড়িমাকে ১২ কেজি সোনার গহনা দিয়ে সাজানো হয়েছে। সেখানে উপচে পড়েছে মানুষের ভিড়। ভিড় সামলাতে অসংখ্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাত যত বেশি হচ্ছে ভিড়ও বেশি হচ্ছে। তাই সেখানেও বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে পুলিশ।