• বিজেপি সাংসদের 'জিভ টেনে ছিঁড়ে নেওয়া'-র নিদান তৃণমূল বিধায়কের
    ২৪ ঘন্টা | ২১ নভেম্বর ২০২৩
  • রণজয় সিংহ: এবারে বিজেপি সাংসদ বিধায়কদের জিভ টেনে ছিঁড়ে নেওয়ার নিদান দিলেন মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা মালতিপুরের বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি। শুধু তাই নয় সমাজ ছাড়া করার হুঁশিয়ারীও দিয়েছেন তিনি। মালদার বামনগোলাতে তৃণমূল কংগ্রেসের এক পথসভা থেকে এই ভাষাতেই বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন আব্দুর রহিম বক্সী।এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস এমনই পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছেন বিজেপি বিধায়ক জুয়েল মুর্মু। পথসভা থেকে বক্তব্য রাখার সময় জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘খগেন বাবু পাঁচ বছরে সাংসদ কোটায় ২৫ কোটি পান। কিন্তু আমি বলছি তিনি ৩৫ কোটি পান। সাংসদ কোটায় পাঁচ বছর ২৫ কোটি টাকা। আর ১০-১৫ বছর ধরে উনি এলাকার বিধায়ক ছিলেন। ফলে উনি ৩৫ কোটি পান। উনি বলবেন রহিম বক্সি গালাগালি করছেন। কত টাকা কমিশনে সেই টাকা বিক্রি করেছেন কন্টাক্টারদের কাছে। সেই ৩৫ কোটি টাকা কোথায় তার হিসেব দিতে হবে’।

    তিনি আরও বলেন, ‘বদনামের রাস্তা তৈরি করে হিসাব নিচ্ছেন। ৩৫ কোটি টাকা কত টাকার কমিশনে বিক্রি হয়েছে তার হিসাব দিতে হবে। খগেন বাবু বহু কথা বলেছেন, বড় বড় আওয়াজ তুলছেন। মানুষ কিন্তু এবার ছেড়ে কথা বলবে না। যে মুখ দিয়ে মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন, যে মুখ দিয়ে মিথ্যা কথা বলে মানুষদের বিভ্রান্ত করছেন; সেই মুখ থেকে জিভটা টেনে বের করে মানুষ প্রমাণ করবে যে মানুষ আপনাদের সঙ্গে নেই’।তিনি যোগ করেছেন, ‘আমরা বুক চিতিয়ে বলে যাচ্ছি আজকে এই কলোনির হাটে যে রাস্তাগুলো হয়নি এখানে কেন্দ্রীয় সরকার যত বঞ্চনা করুক খগেন মুর্মু যত বঞ্চনা করুক, জুয়েল মুর্মু যত বিরোধিতা করুক, আর বিজেপি যত বিরোধিতা করুক; সমস্ত রাস্তা তৃণমূল কংগ্রেস করবে। যারা বার্ধক্য ভাতা পাননি তাদের কাজ তৃণমূল কংগ্রেস করবে ।যারা বাড়ি পাননি তাদের ব্যবস্থা তৃণমূল কংগ্রেস করবে। লড়াই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে মমতা ব্যানার্জি ৩৪ বছরের একটা সরকার, যে সরকার মানুষের মেরে ফেলার কাজ করেছিল; সেই ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকারকে শিকর থেকে উপড়ে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন’।বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় এই সরকার কয়েক বছরের সরকার। যে সরকার আমাদের ভাই-ভাইয়ের মধ্যে বিভেদ তৈরি করে, লড়াই তৈরি করে; উস্কে দিয়ে আমাদের মধ্যে ফাটল তৈরি করে দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। বামনগোলার মানুষ প্রমাণ করেছেন বিগত দিনে, আমরা জাতপাতের রাজনীতি করি না। আমরা তার ঊর্ধ্বে উঠে মানুষের জন্য কাজ করি এটা বামনগোলার মানুষ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে দুটো জেলা পরিষদ জিতিয়ে, ৫ টা গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি জিতিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছেন যে খগেন বাবু বিজেপির স্থান বামনগোলের মাটিতে আর নেই’।বক্সি বলেন, ‘আপনি যতই চেষ্টা করুন বামনগোলর মাটিতে আপনাদের স্থান নেই। তাই বামনগোলার বিজেপি বন্ধুরা তাদের সঙ্গে আমাদের কোনও লড়াই নেই। ফাঁকা মাথা, খালি হাত তাদের সঙ্গে আমাদের কোনও লড়াই নেই, তাদের জন্যও মমতা ব্যানার্জির লড়াই করছেন। সাধারণ মানুষের জন্য লড়াই করছেন। তাই মমতা ব্যানার্জির হাত শক্তিশালী করতে এই লোকসভা নির্বাচনে যারা সাংসদ কোটার টাকা কমিশনে বিক্রি করে খায় তাদেরকে ছুঁড়ে ফেলি আমরা সমাজ থেকে। যারা বিধায়ক কোটার টাকা কমিশনে বিক্রি করে খায় তাদেরকে সমাজ থেকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে নতুন সাংসদ তৈরি করব আমরা। উত্তর মালদায় ২০২৬ সালে আমরা নতুন বিধায়ক তৈরি করব। তৃণমূল কংগ্রেসকে শক্তিশালী করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে এই শপথ আমরা করি’।মালদার বামনগোলা ব্লকের গঙ্গাপ্রসাদ কলোনি এলাকায় এমনই মন্তব্য করেন মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)