নিজস্ব সংবাদদাতা, তমলুক: কোলাঘাটে একেবারে ফিল্মি কায়দায় শুটআউট! জাতীয় সড়কের উপর এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুন করল দুষ্কৃতীরা। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই সোনা ও টাকা লুঠ করে চম্পট দেয় বাইকে আসা আততায়ীরা।
জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে কোলাঘাটের দেউলবাড় এলাকার এই ঘটনাকে ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে মৃতদেহ আটকে রেখে দীর্ঘক্ষণ জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এর জেরে জাতীয় সড়ক জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত স্বর্ণ ব্যবসায়ীর মান সমীর পড়িয়া (৩৭)। পাঁশকুড়া থানার উত্তর জিঞাদা এলাকার বাসিন্দা। বাড়ি থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশেই স্থানীয় জিঞাদা বাজার এলাকাতে তার একটি সোনার দোকান রয়েছে। প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে সাড়ে ৮টা নাগাদ তিনি বাইক চালিয়ে জাতীয় সড়ক ধরে বাড়ি ফিরছিলেন। জাতীয় সড়কের ওপর কোলাঘাট থানার দেউলবাড়ে নির্জন এলাকায় তাঁর ওপর আক্রমণ চালায় দুষ্কৃতীদের একটি দল।
অভিযোগ, দুটি বাইকে কয়েকজন দুষ্কৃতি ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে ঘিরে ধরে গুলি চালাতে শুরু করে। ঘটনাস্থলে রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সমীর। দুষ্কৃতীরা ওই ব্যবসায়ীর থেকে সোনা ও টাকা লুঠ করে চম্পট দেয়। গুলির আওয়াজে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এলাকার মানুষ। ঘটনার প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ শুরু হয়। পুলিশও এসে বিক্ষোভের মুখে পড়ে। পরে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।
এই ঘটনায় পুলিশ দু’টি বিষয়ে নজর রাখছে। শুধুমাত্র ডাকাতির জন্যই এই খুন নাকি এর সঙ্গে নিহতের পুরনো শত্রুতা ছিল খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের দাবি, হামলাকারীরা যে সমীরের গতিবিধির উপর বেশ কিছুদিন ধরে নজর রাখছিল, তার প্রমাণ মিলেছে। তিনি কখন দোকান বন্ধ করে কোনপথে বাড়ি ফিরতেন তা-ও হামলাকারীদের জানা ছিল। এই 'বাইক গ্যাং'কে ধরতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।