CV Ananda Bose : 'মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মতপার্থক্য হতে পারে কিন্তু...', রাজ্যপাল হিসেবে বর্ষপূর্তিতে মুখ খুললেন বোস
এই সময় | ২১ নভেম্বর ২০২৩
পশ্চিমবঙ্গের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে এক বছর পূর্তি করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মেয়াদকালের শুরুতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সু-সম্পর্ক থাকলেও, পরবর্তীকালে একাধিক ইস্যুতে চরমে ওঠে নবান্ন-রাজভবন সংঘাত। একদিকে যেমন রাজ্য সরকারের একাধিক পদক্ষেপ নিয়ে সরব হয়েছেন বোস। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে শাসকদলের তাবড় নেতারা রাজ্যপালকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। মেয়াদকালের এক বছর পূর্তিতে রাজভবনে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠক থেকে একাধিক বিষয়ে মুখ খুলেছেন রাজ্যপাল। সরকার নিয়ে সিভি আনন্দ বোসের অবস্থান আগের তুলনায় খানিক নরম বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলরাজ্যে একের পর এক দুর্নীতির খবর সামনে এসেছে। জড়িত থাকার অভিযোগ গ্রেফতার হয়েছে শাসকদলের একাধিক নেতা মন্ত্রী। এদিন দুর্নীতি ইস্যু নিয়ে মুখ খুলেছেন সিভি আনন্দ বোস। তিনি বলেন, 'সন্ত্রাস ও দুর্নীতি রাজ্যের অন্যতম দুটি বড় ইস্যু বলেই আমার এই এক বছরে মনে হয়েছে। সমাজ বা বর্তমান প্রশাসন দুর্নীতি তৈরি করেছে এমনটা বলছি না। তবে দুর্নীতির অস্তিত্ব রয়েছে। কিন্তু সেটা উপেক্ষা করা যাবে না। দুর্নীতি ও সন্ত্রাস রুখতে আমাদের অতি সক্রিয়তার সঙ্গে পদক্ষেপ করতে হবে। এটাই সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ বলে আমার মনে হয়েছে।'তিনি আরও বলেন, 'হিংসা ও দুর্নীতির সঙ্গে সরকার জড়িত, এমনটা মনে করি না। তবে কোনও রাজনৈতিক দল এর সঙ্গে অবশ্যই জড়িত থাকতে পারে। এমনটা হলে সরকার পদক্ষেপ নেবে বলেই আমার বিশ্বাস।'রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা, একাধিক বিষয়ে তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজ্যপাল সংঘাতের আবহ। সেই নিয়েও এদিন মুখ খুলেছেন তিনি। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গেও কথা বলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।রাজ্যপাল বলেন, 'রাজ্যের সঙ্গে সঙ্গে রাজভবনের সংঘাত যে ভাবে দেখানো হয়ে থাকে, তেমনটা মোটেই ঠিক নয়। রাজ্যের সঙ্গে তেমন কোনও সংঘাতই নেই। মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল, উভয়কেই আইন মেনে চলতে হবে। তাঁদের পরস্পরের প্রতি সম্মান থাকলে কাজ আরও ভাল হবে। মুখ্যমন্ত্রী মানুষের চাহিদা মেটাবেন, রাজ্যপাল সাংবিধানিকভাবে বিষয়টি দেখবেন। দু'জনের মত পার্থক্য হতে পারে। তবে তাঁদের মানুষের কথা ভাবতেই হবে বলেই আমার মনে হয়।'