• Rosogolla : পাতে পড়ল না রসগোল্লা, বিয়ে বাড়িতে বর ও কন্যাপক্ষের চুলোচুলি
    এই সময় | ২১ নভেম্বর ২০২৩
  • রসগোল্লা খেতে ভালোবাসেন না এমন মানুষের সংখ্যা হাতে গোনা। এবার প্রিয় এই মিষ্টির লোভেই হাতাহাতি জড়িয়ে পড়লেন একদল। হুলস্থূল কাণ্ড বাঁধ বর ও কন্যাপক্ষের মধ্যে। গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন ছয় ব্যক্তি। কোথায় ঘটল এমনটা?রসগোল্লা মানেই মিষ্টিপ্রেমী বাঙালিদের কথা মাথায় আসে। কিন্তু, এ ক্ষেত্রে মিষ্টি নিয়ে কাড়াকাড়ি পড়ে গেল উত্তর প্রদেশে। একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে পাতে রসগোল্লা পড়া নিয়ে শুরু বচসা। যা ক্রমে চূড়ান্ত হাতাহাতিতে গড়ায়।রবিবার মধ্যরাতে এই ঘটনা ঘটে উত্তর প্রদেশের সামশাবাদে। স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক অনীল শর্মা বলেন, 'ব্রিজভন কুশওয়াহার বাসভবনে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। কেউ একজন বলেন রসগোল্লা শেষ হয়ে গিয়েছে। সেই থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। নিমন্ত্রিত অতিথিদের পাতে পর্যাপ্ত রসগোল্লা দেওয়া সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। ভগবান দেবী, যোগেশ, মনোজ, কৈলাশ, ধর্মেন্দ্র এবং পবনের মধ্যে বচসা বাসে। যা ক্রমশ হাতাহাতিতে গড়ায়। এতেই সকলে গুরুতর আহত হন। আপাতত সকলেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যেকেই বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত।'দেনাপাওনা নিয়ে বরপক্ষের সঙ্গে কনেপক্ষের বচসা, অশান্তি খবর পাওয়া যায় বিয়ে বাড়ি থেকে। কিন্তু, রসগোল্লা নিয়ে এ হেন বিবাদের ঘটনা চমকে দিয়েছে সকলকেই। মিষ্টি নিয়ে হল তুমুল মারপিট। রসগোল্লা কম দেওয়াতেই বেজায় চটে যান অতিথিরা। প্রাথমিকভাবে তর্ক-বিতর্ক থেকে খানিকক্ষণের মধ্যেই একে অপরের উপর চড়াও হন তারা। পরিস্থিতি এতটাই হাতের বাইরে চলে যায়, শেষ পর্যন্ত পুলিশ ডাকতে বাধ্য হন বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজকরা।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাতের দিকে বিয়েবাড়িতে খেতে বসে এক অতিথি প্রশ্ন তোলেন, ‘পাতে রসগোল্লা এত কম পড়ছে কেন?’ তা নিয়েই দু’পক্ষের মধ্যে বচসা হয়। সামান্য কথা কাটাকাটি থেকে একসময় মারপিটের পর্যায়ে পৌঁছয়।গত বছর অক্টোবরে এতমাদপুরে ঠিক এমনই একটি ঘটনা ঘটে। সেবারও একটি বিবাহ অনুষ্ঠানে মিষ্টি কমা পড়ায় মারপিট শুরু হয়েছিল। তাতে একজনের মৃত্যু হয়। জখম হন আরও পাঁচজন। পুলিশ জানতে পারে, রসগোল্লা কম পড়ায় পাত্র ও কন্যাপক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। সেই বচসা থেকে কখন যে মারপিট বেধে গিয়েছিল, তা অনুষ্ঠানে উপস্থিত কেউই ঠাওর করতে পারেননি। বচসার মধ্যেই এক ব্যক্তি ছুরি হাতে অতিথিদের দিকে তেড়ে এসেছিলেন। তার আঘাতে ২২ বছরের এক তরুণ গুরুতর জখম হন। প্রথমে সেই তরুণকে কমিউনিটি হেলথ সেন্টার ও পরে আগরার সরোজিনী নাইডু মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। কিন্তু, তাঁর প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
  • Link to this news (এই সময়)