One Nation One Election : এক দেশ এক নির্বাচনে কার লাভ? মুখ খুললেন রামনাথ কোবিন্দ
এই সময় | ২১ নভেম্বর ২০২৩
‘এক দেশ এক নির্বাচন’-এর দিকটা খতিয়ে দেখতে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্র। ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নিয়ে এবার মুখ খুললেন কমিটির প্রধান। এই নিয়ম চালু হলে কেন্দ্রে যে দলই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, সকলেই লাভবান হবে বলে দাবি করেছে কোবিন্দ।মঙ্গলবার উত্তর প্রদেশের রায়বরেলিতে ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নিয়ে সাংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খোলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, এ নিয়ে ইতিমধ্যে দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। অতীতে কোনও না কোনও রাজনৈতিক দল ‘এক দেশ এক নির্বাচন’-র পক্ষে মত দিয়েছিল।এই নীতি চালু হলে, দেশের পক্ষ তা মঙ্গলজনক হবে বলে মনে করছেন তিনি। সেই সঙ্গে জাতীয় স্বার্থের কথা চিন্তা করে ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নিয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে গঠনমূলক সহযোগিতার আবেদন করেন। প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিনে ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নিয়ে মোদী সরকার আট সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে।কমিটির মাথা করা হয়ে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি কোবিন্দকে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। প্রথম বৈঠকে দেশের সংবিধান পর্যালোচনা করে এবং নির্বাচন সংক্রান্ত আইন খতিয়ে দেখার পরেই ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে স্থির হয়। সেই সঙ্গে দেশের সব রাজনৈতিক দলকে এ ব্যাপারে তাদের মতামত জানানোর জন্য করা হয়েছিল আবেদন।এরই পাশাপাশি আইন কমিশনের মতামতও নেওয়া হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নিয়ে মোদী সরকারের যুক্তি ছিল যে একসঙ্গে লোকসভা এবং রাজ্যসভার ভোট হলে সরকারের খরচ কমবে। সেই সঙ্গে ভোটের জন্য পৃথক পৃথক সময়ে আচরণ বিধি জারির জন্য যেভাবে সরকারি উন্নয়নমূলক কাজ থমকে যায়, তা আর হবে না।সেই সঙ্গে ভোটের জন্য সরকারি কর্মীর অভাবও দেখা দেবে না বলে জানিয়েছিল কেন্দ্র। যদিও সেই সময় মোদী সরকারের ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে সরব হয় বিরোধী দলগুলি। তাঁদের মতে, ঘুরপথে মোদী সরকার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মতো ভোট করতে চাইছে।সেই সঙ্গে লোকসভা ভোটের সময় যে সমস্ত রাজ্যের বিধানসভার মেয়াদ বাকি থাকবে, তাদের ভবিষ্যত কী হবে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধী শিবির।