Air India : বিমানে মৃগী আক্রান্ত রোগীর আচমকা খিঁচুনি! চিকিৎসক যাত্রীর মিরাকলে বাঁচল প্রাণ
এই সময় | ২১ নভেম্বর ২০২৩
বিমানে হঠাৎ খিঁচুনি রোগে আক্রান্ত হন এক মহিলা যাত্রী। প্রয়োজন হয়ে পড়ে জরুরি চিকিৎসার। এই সময় যাত্রীর প্রাণ বাঁচাতে এগিয়ে আসেন বিমানের যাত্রী এক চিকিৎসক। প্রাথমিক চিকিৎসায় রক্ষা প্রায় আক্রান্ত। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লি-টরন্টোগামী এয়ার ইন্ডিয়া বিমানে। যাত্রীর প্রাণ বাঁচানোর জন্য চিকিৎসকের ভূমিকার প্রশংসা করেছে বিমান সংস্থা।নির্দিষ্ট সময়ে ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল দিল্লি-টরেন্টোগামী এয়ার ইন্ডিয়া বিমানটি। এই সময় বিমানের এক মহিলা যাত্রী হঠাৎ খিঁচুনি রোগে আক্রান্ত হয়। ঘটনায় বিমানের অন্যান্য যাত্রীদের মধ্যে তৈরি হয় আতঙ্ক। এই সময় আক্রান্ত যাত্রীর চিকিৎসায় বিমানে একটি চিকিৎসকযাত্রী এগিয়ে আসেন। তাঁর চেষ্টায় প্রাণে বাঁচেন ওই মহিলা।প্রাথমিক চিকিৎসার পর মহিলাকে দিল্লির একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে।জানা গেছে, ওই চিকিৎসকের নাম সুন্দর শঙ্করণ। বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা তিনি। বিমানের মধ্যে মহিলা যাত্রীর খিঁচুতি আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা তিনিই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানিয়েছেন।সেই সঙ্গে আক্রান্তকে সুস্থ করতে বিমান সেবিকারা যেভাবে তাঁকে সাহায্য করেছেন, তারজন্য কৃতজ্ঞতা জানান বেঙ্গালুরুর অ্যাস্টার ইনস্টিটিউট অফ রেনাল ট্রান্সপ্লান্টেশনের পরিচালক। বেঙ্গালুরুর চিকিৎসকের পোস্টকে ট্যাগ করে পালটা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। যাত্রীকে প্রাণে বাঁচানোর জন্য চিকিৎসক সুন্দর শঙ্করণকে বিমান সংস্থার পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে।তাঁর মতো মানুষকে যাত্রী হিসেবে পেয়ে এয়ার ইন্ডিয়া ধন্য মনে করছে বলে প্রতিক্রিয়ায় জানানো হয়। বিমানের মধ্যে অসুস্থ যাত্রীর চিকিৎসার অভিজ্ঞতা বেঙ্গালুরুর চিকিৎসকের এই প্রথম নয়। এর আগেও তিন তিনবার এই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল তাঁকে। একবার দিল্লি থেকে বেঙ্গালুরু যাচ্ছিলেন তিনি।এই সময় বায়ুসেনার এক অফিসার হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাঁর চিকিৎসায় এগিয়ে এসেছিলেন শঙ্করণ। প্রসঙ্গত গত অক্টোবর মাসে মাঝ আকাশে ইন্ডিগো সংস্থার একটি বিমানে এক ৬ মাসের শিশুর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। জন্মের পর থেকে হার্টের অসুখে ভুগছিল শিশুটি। চিকিৎসার জন্য সন্তানকে নিয়ে রাঁচি থেকে দিল্লি যাচ্ছিলেন বাবা-মা।অসহায় মা সন্তানকে বাঁচানোর জন্য ক্রু-দের কাছে আবেদন করেন। এই সময় শিশুটিকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেন রাঁচির এক আমলা চিকিৎসক এবং তাঁর সঙ্গী। তাঁদের চিকিৎসার বিপন্মুক্ত হয়েছিল শিশুটি। গত জানুয়ারি মাসে বার্মিংহাম-ভারতগামী বিমানে এক যাত্রী দুই দু’বার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন।বিমানের যাত্রী ছিলেন বার্মিংহামের একটি হাসপাতালে চিকিৎসক বিশ্বরাজ ভেমলা। হৃদরোগে আক্রান্ত যাত্রীর চিকিৎসায় এগিয়ে আসেন তিনি। তাঁর প্রাথমকি চিকিৎসায় সু্স্থ হয়ে ওঠেন ওই যাত্রী। পরে আক্রান্তকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।