মঙ্গলের সকালে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ধার যুবতীর পচাগলা দেহ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। দেহ উদ্ধারের ঘটনায় পড়ুয়াদের মধ্যেও ছড়িয়েছে আতঙ্ক। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে বলেই খবর।বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসের নহর থেকে এক যুবতীর পচাগলা হয় মঙ্গলবার। এই ঘটনা ঘিরে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। তারা দেহটি উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে। মৃত যুবতীর পরিচয় জানা যায়নি।স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসের পরিখায় হঠাৎই ওই যুবতীর দেহ ভাসতে দেখেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা। এরপরেই বর্ধমান থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।দেহটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও ছাত্রীর নয় বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। কারণ থানায় কোনও নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়নি। তবে এই দেহ উদ্ধারের পিছনে খুন না নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট করে জানা যায়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মধ্যে কী ভাবে দেহ এল? সেই নিয়ে দানা বেঁধেছে রহস্য। পড়য়ুাদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করছে। সামগ্রিক ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ।বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার সুজিত চৌধুরীকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'আমি একটি মিটিংয়ে রয়েছি। ক্যাম্পাস থেকে কোনও দেহ উদ্ধার হয়েছে কি না জানি না। সেই কারণে এই নিয়ে কিছু বলতে পারব না।'নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়া বলেন, 'আমাদের ক্যাম্পাস থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে, এটা শুনেই আমার হাত-পা ঠান্ডা হয়েছে যাচ্ছে। খুব ভয়ে রয়েছি। উদ্ধার হওয়া দেহ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও পডুয়ার কি না, জানা নেই। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে যদি দেহ উদ্ধার হয়, স্বাভাবিকভাবেই পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। পুলিশের গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষেরও ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পদক্ষেপ।'উল্লেখ্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া মৃত্যু ঘটনা নিয়ে তোলাপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। এই ঘটনায় ফের একবার ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিয়ে উঠে গেল প্রশ্ন।