• এবার দিঘাতেই চিড়িয়াখানা! পর্যটকদের উপরি খুশি দিয়ে বিরাট উদ্যোগ
    এই সময় | ২১ নভেম্বর ২০২৩
  • দিঘাকে ঢেলে সাজাচ্ছ সরকার। এবার বাঙালির প্রিয় এই ভ্রমণ ডেস্টিনেশনের আকর্ষণ বৃদ্ধি করার জন্য মিনি জু বা ছোট চিড়িয়াখানা গড়ার পরিকল্পনা করেছে দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ। আর এই মর্মে ইতিমধ্যেই সেন্ট্রাল জু অথরিটির পাশাপাশি অন্যান্য সমস্ত বিভাগের কাছে অনুমতিও চাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও এই পর্যন্ত অনুমোদন চূড়ান্ত হয়নি বলেই সূত্রের খবর। তবে অদূর ভবিষ্যতে দিঘায় যে চিড়িয়াখানা দেখতে পারবেন পর্যটকরা, এই আশা করাই যায়।নিউ দিঘায় দত্তপুর মৌজার ওডিশা সীমান্তের কাছে দিঘা এবং শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের একটি বিস্তারিত জায়গা রয়েছে। প্রায় ২৪ একর এই জায়গাতেই আগামীতে চিড়িয়াখানা গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। মিনি জু তৈরি হলে তা দর্শকদের কাছে আকর্ষণের অন্যতম জায়গা হবে, মনে করা হচ্ছে এমনটাই।উল্লেখ্য, এই জায়গাটি ঝাউবনে ঘেরা। সামনে সমুদ্র। ফলে তা দর্শকদের জন্য আরও মনোগ্রাহী হয়ে উঠবে। এই মিনি জুতে কুমির, ঘড়িয়াল এবং অন্যান্য প্রাণী রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। দেখা যেতে পারে হরিণ-বিভিন্ন পাখি।এই উদ্যোগের ফলে দিঘায় পর্যটকদের আগমণ আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। দিঘার হোটেল ব্যবসায়ীদের একাংশের কথায়, খুদেদের চিড়িয়াখানার প্রতি আলাদা একটা আকর্ষণ থাকে। সেক্ষেত্রে সমুদ্রের পাশাপাশি যদি একই জায়গায় তারা চিড়িয়াখানাও পায় সেক্ষেত্রে দিঘার প্রতি খুদেদের আকর্ষণ আরও বাড়বে এবং তাতে লাভবান হবে দিঘার পর্যটন ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা। এখন এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন শুধুমাত্র অনুমতির অপেক্ষায় বলে মনে করা হচ্ছে।দিঘায় পুরীর আদলে জগন্নাথ মন্দির গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই লক্ষ্যে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, 'দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরি হচ্ছে। পুরীর মন্দির যে উচ্চতায় এটাও ততটাই উচ্চতায় তৈরি করা হচ্ছে। এপ্রিল মাসের মধ্যেই তা তৈরি হয়ে যাবে।'উঠছে বিধিনিষেধ ! দিঘায় আছড়ে পড়ছে আনন্দের ঢেউ!অর্থাৎ দিঘার পর্যটন ক্ষেত্রে তা একটি নয়া পালক হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে কার্যত লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল সমুদ্র সৈকত দিঘা। এরপর সরকারের তরফে দিঘাকে নতুন করে সাজিয়ে তোলার জন্য একগুচ্ছ পদক্ষেপ করা হয়েছিল।
  • Link to this news (এই সময়)