• Mumbai Terror Attacks: ২৬/১১-র হামলায় বাঁচিয়েছিল বহু জীবন, সবার চোখের আড়ালেই যে ৪ 'হিরো'
    এই সময় | ২৬ নভেম্বর ২০২৩
  • ২০১২ সালের ২৬ নভেম্বর দিনটা ছিল দেশের জন্য একটা কালো দিন। মুম্বই হামলার ক্ষত এখনও দগদগে। নয় নয় করে তারপর পার হয়ে গিয়েছে দেড় দশক। ১৫ বছর আগে এই দিনে মুম্বই বিশ্বের অন্যতম ভয়ঙ্কর ও নৃশংস সন্ত্রাসবাদী হামলার শিকার হয়। লস্কর-ই-তইবার ১০ জন সন্ত্রাসবাসী এই হামলা চালায়।এই হামলা চালানোর আগে রীতিমতো তাদের প্রশিক্ষণ চলেছিল পাকিস্তানে। অত্যাধুনিক অস্ত্র, খাবারদাবার নিয়ে একটি নৌকা করে সমুদ্রপথে প্রবেশ করেছিল মুম্বইয়ে। আর তারপর শহরজুড়ে রেখে গিয়েছিল সন্ত্রাস আর নিষ্ঠুরতার ছাপ। জনবহুল স্থান আর বিল্ডিংই ছিল তাদের টার্গেট। হানা আর হত্যালীলা চলেছিল চার দিন ধরে। সরকারি হিসেবে জঙ্গি হামলায় মারা যান ১৬৬ জন। মৃত্যু হয় ৯ জঙ্গিরও। গ্রেফতার করা হয় আজমল কাসভকে। জঙ্গিদের গুলিতে আহতও হন ৩০০-এরও বেশি মানুষ। আজও চলছে হামলার তদন্ত। মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখা তদন্ত চালাচ্ছে।নৃশংস সন্ত্রাসবাদী হামলা চলার সময় নিজেদের জীবনের তোয়াক্কা না করে আমজনতার জীবন বাঁচানোর তাগিদে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন সেনা জওয়ানরা। এগিয়ে এসেছিলেন সাধারণ নাগরিক। নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অন্যের জীবন বাঁচাতে তাঁদের সেই নিঃস্বার্থ লড়াইয়ের কথা মনে রেখেছে দেশবাসী। তবে এই প্রতিবেদনে তাঁদের কথা নয়, বলব এমন কয়েকজনের কথা যাদের খবর হয়তো সেভাবে কখনও প্রকাশ্যেই আসে না। শত শত মানুষের প্রাণ বাঁচানোয় তাদের ভূমিকাও কম ছিল না। ওদের কোনও ইউনিফর্ম নেই, নেই মাথায় কোনও টুপিও। ওরা চারপেয়, চারটি স্নিফার কুকুর। ওদের নাম তাদের ম্যাক্স, টাইগার, সুলতান, সিজার। ২৬/১১-র হামলার দিন মুম্বই পুলিশের ডগ স্কোয়াডের টাইগার, সুলতান, ম্যাক্স ও সিজাররা জঙ্গি মোকাবিলায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। মুম্বই পুলিশের বোম্ব ডিকেটকশন অ্যান্ড ডিসপোজাল স্কোয়াড এই চার কুকুরের জন্য সেদিন শুধু অগণিত প্রাণই বাঁচেনি বরং আরও বড়সড় বিস্ফোরণের থেকেও রক্ষা করেছিল মুম্বইয়কে। গন্ধ শুঁকে শুঁকে বিস্ফোরকের সন্ধান দেওয়ার পিছনে কৃতিত্ব এই চার চারপেয়রই প্রাপ্য।২০০৪ সালে জন্ম নেওয়া ম্যাক্স যোগ দিয়েছিল বোম্ব ডিটেকশন এবং ডিসপোজাল স্কোয়াডে। পুণেতে প্রশিক্ষণ শেষ করার পর এক বছরে মধ্য়েই মুম্বই পুলিশের বোমা অনুসন্ধান ও নিষ্ক্রিয়কারী বাহিনীর সদস্য হয়ে যায় সে। ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার সময় তাজ মহল প্যালেসের বাইরে থেকে ওই দলকে কয়েকটি আইইডি খুঁজে বের করতে সাহায্য করেছিল। গন্ধ শুঁকে শুঁকে চিহ্নিত করেছিল ২৫টি হাত গ্রেনেড, ৮ কেজি আরডিএক্সও চিহ্নিত করেছিল। নিজের জীবন বাজি রেখে অন্যদের বাঁচিয়ে দেওয়ার অনন্য কীর্তি গড়ে সাহসিকতার জন্য সোনার মেডেল পেয়েছিল এই সাদা ল্যাব্রেডর। ওর সাহসিকতার কথা শুনে ওকে মেডেল পরিয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন। ২০১৬ সালের ৮ এপ্রিল শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে ম্যাক্স।অন্যদিকে ২০১৫ সালে চাকরি থেকে অবসর নেয় টাইগার। নামেও ছিল টাইগার আর কাজেও। সুলতান ও টাইগার দু'জনেই বম্ব ডিটেকশন অ্যান্ড ডিসপোজাল স্কোয়াডের সদস্য ছিল। বোমা সনাক্ত করতে সাহায্য করেছিল টাইগার, সুলতান দু'জনই। তাজমহল হোটেলের বাইরে মোতায়েন করা হয়েছিল টাইগারকে। ২০১৬ সালে মৃত্যু হয় টাইগারের ও সুলতানের। সঙ্গী টাইগারের মৃত্যুর পর মনমরা হয়ে গিয়েছিল সিজার। সুলতানের মৃত্যুর কয়েক মাস পরে ২০১৬ সালের অক্টোবরে মৃত্যু হয় সিজারের।রাজ্য, দেশ, দুনিয়া, বিনোদন, খেলার সব খবর সবার আগে পেতে চান??'হোয়াটসঅ্যাপে ফলো করুন এই সময়কে।
  • Link to this news (এই সময়)