• চাইনিজ To চপ, ৮৭ স্টল সাজিয়ে 'পেটুক'-দের জন্য বর্ধমানে শুরু 'খাদ্যান্বেষণ'
    এই সময় | ২৬ নভেম্বর ২০২৩
  • উৎসব শেষ, মেলা শুরু! বাঙালি বরাবর 'আমুদে'। খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে নাচ-গান-উৎসব, সবটুকুর জন্য প্রতিনিয়ত প্রতীক্ষা করে থাকেন তাঁরা। আপাতত সমস্ত পুজো মিটেছে। কিন্তু, ফুচকার টক জল, ঘুগনিতে 'এক্সট্রা', কাঁচালঙ্কা আর শীতকালে মেলা- এই তিনের সঙ্গে কোনও আপোস করতে নারাজ বাঙালি। অতকিম নাগরদোলা লাগিয়ে, মেলায় হরেক মাল ৩০ টাকায় বেচে বা ইত্যাদি ইত্যাদি উপায়ে- খুশি এবং উল্লাসের রোডম্যাপ নিজেই তৈরি করছে বাঙালি। আর ‘১০০% মজা আর উৎসব’-এর দিব্যি গেলে বর্ধমানে শুরু হয়েছে ‘খাদ্যান্বেষণ ২০২৩’। আর এই মেলাকে কেন্দ্র করে বাড়ছে উৎসাহ।মেলায় হরেক রকমের স্টল রয়েছেঅনুষ্ঠিত হচ্ছে খাদ্যমেলাবহু পেটুকের মন এখন এগলি-ওগলি পেরিয়ে দৌড়ে গিয়েছে এই মেলা ডেস্টিনেশনে। কিন্তু, কী ভাবে যাবেন এখানে! বর্ধমান শহরের পারবিরহাটার উৎসব ময়দানে এই মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই মেলার আয়োজন করেছে বর্ধমান ফুডিস ক্লাব। মেলা চলবে নয় দিন ধরে। যা শেষ হবে তিন তারিখ রবিবার। এই খাদ্য মেলায় রয়েছে ৮৭টি খাবারের স্টল। তার মধ্যে তুরস্কের আইসক্রিম থেকে চাইনিজ, বাঙালি খাবার, ঢেঁকিতে কোটা পিঠে ও বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি থেকে শুরু করে পান রয়েছে। বর্ধমান ফুডিস ক্লাবের আয়োজনে দ্বিতীয়বার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এই খাদ্যমেলা।'দামে কম-মানে ভালো'! পেটুকরা শুনছেন!এবার মেলায় বিশেষ আকর্ষণ হলো 'উদয়ন' স্টল। সেখানে বর্ধমান সংশোধনাগারের বন্দিনের হাতে তৈরি বিরিয়ানি, চিকেন চাপ ও চিলি চিকেন পাওয়া যাবে। সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকজন সাজাপ্রাপ্ত বন্দিকে এই সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সংশোধনাগার ক্যান্টিনে তা তৈরি করে মেলা প্রাঙ্গণে সেগুলি গরম করে বিক্রি করবেন তাঁরা। আর এর জন্য দেওয়া হয়েছে অনুমতিও।মিলবে বন্দিদের হাতের তৈরি খাবারশীত পড়তেই অল্প সল্প পিঠের দিকে ঝুঁকছে বাঙালির মন। নলেন গুড় দিয়ে পুর পিঠেতে কামড় বসানোর মজাই আলাদা। এই মেলাতে একাধিক পিঠে এবং বাঙালি খাবারের স্টল থাকছে।
  • Link to this news (এই সময়)