রেশন দুর্নীতি মামলায় জড়িত সন্দেহে অক্টোবর মাসে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। বর্তমানে হেফাজতে রয়েছেন তিনি। এদিকে দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছতে মরিয়া ইডি। মঙ্গলবার দুপুর ১ টা বেজে ৭ টা নাগাদ অরণ্যভবনে যান ইডির আধিকারিকরা। সোজা চলে যান নতলায়। সেখানেই বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘর। বনমন্ত্রীর ঘরে চলছে তল্লাশি। ২০২১ পর্যন্ত খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। পরে বদলি হয়ে বনমন্ত্রী হন। ইডির দাবি, বনমন্ত্রী হওয়ার পর অরন্যভবন থেকে দুর্নীতিমূলক কার্যকলাপ করেছেন তিনি। সেই কারণেই তল্লাশি।
প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। সেখানে নাম রয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বাকিবুর রহমানের। চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, মন্ত্রীর হাত ধরেই সরকারি কোষাগার থেকে ৪৫০ কোটি ৩১ লাখ টাকা যায় তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের সাজানো ভুয়ো কৃষকদের অ্যাকাউন্টে। বাকিবুর তাঁর সংস্থার ৫০ জন কর্মীকে কৃষক হিসাবে দেখিয়েই অ্যাকাউন্ট খোলেন। ধান কেনাবেচার নামে ওয়েস্ট বেঙ্গল এসেনসিয়াল কমোডিটি সাপ্লাই কর্পোরেশন লিমিটেডের তহবিল থেকে ৪৫০ কোটি ৩১ লাখ টাকা পাঠানো হয় ওই ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলিতে।