পুজোয় ছুটি কমলেও ক্ষতি হল না- ২০২৪ সালে কবে কবে প্রাথমিক স্কুল বন্ধ থাকবে?
হিন্দুস্তান টাইমস | ২০ ডিসেম্বর ২০২৩
নয়া বছরে পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক স্কুলে কবে কবে ছুটি থাকতে চলেছে? পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মোট ছুটির দিনের সংখ্যা অপরিবর্তিত থাকলেও এবার পুজোয় একটানা স্কুলে ছুটি থাকবে না। বরং লক্ষ্মীপুজো এবং কালীপুজোর মধ্যে কয়েকদিন স্কুল খোলা থাকবে বলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ছুটির তালিকা অনুযায়ী, গরমের ছুটি থাকবে ১৯ দিন (রবিবার বাদে)। পুজোয় মোট ১৫ দিন ছুটি (রবিবার বাদে) থাকবে।
১) ১ জানুয়ারি: ইংরেজি নববর্ষ (সোমবার)।
২) ১২ জানুয়ারি: স্বামী বিবেকানন্দ জন্মজয়ন্তী (শুক্রবার)।
৩) ১৫ জানুয়ারি: মকর সংক্রান্তি বা পৌষ পার্বণ সোমবার)।
৪) ২৩ জানুয়ারি: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তী (মঙ্গলবার, স্কুলে পালন করতে হবে)।
৫) ২৬ জানুয়ারি: প্রজাতন্ত্র দিবস (শুক্রবার, স্কুলে পালন করতে হবে)।
৭) ১৪ ফেব্রুয়ারি: সরস্বতী পুজো এবং পঞ্চানন বর্মার জন্মদিবস (বুধবার)।
৮) ২১ ফেব্রুয়ারি: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (বুধবার, স্কুলে পালন করতে হবে)।
৯) ২৬ ফেব্রুয়ারি: শবেবরাত (সোমবার)।
১০) ৮ মার্চ: শিবরাত্রি (শুক্রবার)।
১১) ২৫ মার্চ এবং ২৬ মার্চ: দোলযাত্রা (সোমবার এবং মঙ্গলবার)।
১২) ২৯ মার্চ: গুড ফ্রাইডে (শুক্রবার)।
১৩) ৬ এপ্রিল: শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর জন্মজয়ন্তী (শনিবার)।
১৪) ১০ এপ্রিল এবং ১১ এপ্রিল: ইদ (বুধবার এবং বৃহস্পতিবার)।
১৫) ১৩ এপ্রিল: চৈত্র সংক্রান্তি (শনিবার)।
১৬) ১৫ এপ্রিল: বাংলা নববর্ষ এবং বিআর আম্বেদকরের জন্মদিন (রবিবার)।
১৭) ২১ এপ্রিল: মহাবীর জয়ন্তী (রবিবার)।
১৮) ১ মে: মে দিবস (বুধবার)।
১৯) ৮ মে: রবীন্দ্র জয়ন্তী (বুধবার, স্কুলে পালন করতে হবে)।
২০) গরমকালের ছুটি: ১৩ মে থেকে ৩ জুন (সোমবার থেকে সোমবার, মোট ১৯ দিন ছুটি থাকবে, রবিবার বাদে ছুটি হিসাব করা হয়)।
২১) ২৩ মে: বুদ্ধপূর্ণিমা এবং পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মুর জন্মজয়ন্তী (বৃহস্পতিবার) (গরমকালের ছুটির মধ্যে পড়ছে)।
২২) ২৬ মে: কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী (রবিবার)।
২৩) ১৭ জুন: বকরি ইদ (সোমবার)।
২৪) ৭ জুলাই: রথযাত্রা (রবিবার)।
২৫) ১৭ জুলাই: মহরম (বুধবার)।
২৬) ২ অগস্ট: আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় জন্মজয়ন্তী (শুক্রবার, স্কুলে পালন করতে হবে)।
২৭) ১১ অগস্ট: শহিদ দিবস (রবিবার, স্কুলে পালন করতে হবে)।
২৮) ১৫ অগস্ট: স্বাধীনতা দিবস (বৃহস্পতিবার, স্কুলে পালন করতে হবে)।
২৯) ১৯ অগস্ট: রাখি পূর্ণিমা (সোমবার)।
৩০) ২৬ অগস্ট: জন্মাষ্টমী (সোমবার)।
৩১) ৫ সেপ্টেম্বর: শিক্ষক দিবস (বৃহস্পতিবার, স্কুলে পালন করতে হবে)।
৩২) ১৬ সেপ্টেম্বর: ফতোয়া-দোয়াজ-দাহাম (সোমবার)।
৩৩) ১৭ সেপ্টেম্বর: বিশ্বকর্মা পুজো (মঙ্গলবার)।
৩৪) ২৬ সেপ্টেম্বর: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মজয়ন্তী (বৃহস্পতিবার, স্কুলে পালন করতে হবে)।
৩৫) ২ অক্টোবর: গান্ধী জয়ন্তী এবং মহালয়া (বুধবার)।
৩৬) ৭ অক্টোবর থেকে ১৮ অক্টোবর: পুজোর ছুটি (দুর্গাপুজো থেকে লক্ষ্মীপুজোর পরবর্তী দু'দিন পর্যন্ত)।
৩৭) ৩১ অক্টোবর থেকে ৪ অক্টোবর: কালীপুজো থেকে ভাইফোঁটার পরদিন পর্যন্ত।
৩৮) ৭ নভেম্বর এবং ৮ নভেম্বর: ছটপুজো (বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার)।
৩৯) ১০ নভেম্বর: জগদ্ধাত্রী পুজো (রবিবার)।
৪০) ১৪ নভেম্বর: শিশু দিবস (বৃহস্পতিবার, স্কুলে পালন করতে হবে)।
৪১) ১৫ নভেম্বর: বিরসা মুন্ডার জন্মদিবস, পরশনাথের রথযাত্রা এবং গুরু নানকের জন্মজয়ন্তী (শুক্রবার)
৪২) ২৫ ডিসেম্বর: বড়দিন (বুধবার)।
৪৩) বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবস: ১ দিন।
পুজোয় ছুটি কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে একটি মহলের তরফে উষ্মাপ্রকাশ প্রকাশ করা হয়েছে। শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, ‘হাইস্কুলের ক্ষেত্রে ভ্রাতৃদ্বিতীয়া পর্যন্ত টানা স্কুল বন্ধ থাকে। কিন্তু প্রাথমিক স্কুলের ক্ষেত্রে লক্ষ্মীপুজোর পর স্কুল খুলে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আমাদের দাবি, প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলির পুজোর ছুটি একইরকমভাবে রাখা হোক। ছোটদের স্কুল চলবে আর বড়দের স্কুল বন্ধ থাকবে এটা বড্ড বেমানান দেখায়, তাছাড়া ওই সময় ছুটির একটা পরিবেশ থাকে। এই তালিকা সংশোধন করা হোক।’