• গ্রাম পঞ্চায়েতে তহবিল গড়তে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা দিলেন প্রধান
    বর্তমান | ২০ ডিসেম্বর ২০২৩
  • সংবাদদাতা, কালিয়াচক: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে পাওয়া দুই বছরের সঞ্চিত অর্থ পঞ্চায়েতের উন্নয়ন ফান্ডে দিলেন পঞ্চায়েত প্রধান। তাঁকে দেখে উৎসাহিত হয়ে তৃণমূলের ১৩ জন পঞ্চায়েত সদস্য তাঁদের তিন মাসের সাম্মানিক একই ফাণ্ডে দিয়েছেন। ঘটনাটি কালিয়াচক-১  ব্লকের আলিনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের। এই পঞ্চায়েতের ২৩টি আসনের মধ্যে ১৩টি পেয়ে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। প্রধান হন তৃণমূলের আখতারী খাতুন। 

    আলিনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছে পলিটেকনিক কলেজ। সেই কলেজে যাওয়ার রাস্তাটি সম্পূর্ণ অন্ধকার। কলেজের ছাত্ররা আলোর জন্য আবেদন জানালেও পঞ্চায়েতের ফাণ্ডে টাকা না থাকায় প্রধান সেই সময় তাঁর লক্ষ্মীর ভান্ডারের ১২ হাজার টাকা দেন। তাঁকে দেখে উৎসাহিত হয় তৃণমূলের বাকি পঞ্চায়েত সদস্যদের সাত জন ৩০০০ টাকা, চার সঞ্চালক ৩৮০০ টাকা, প্রধান ৫ হাজার ও উপপ্রধান চার হাজার টাকা করে মোট ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ৬০০ টাকা উন্নয়ন তহবিলে জমা করেন।  

    আখতারী খাতুন বলেন, প্রধান হওয়ার পরই পলিটেকনিক কলেজের রাস্তায় আলো বসানোর আবেদন আসে। সেই সময় পঞ্চায়েতের উন্নয়ন ফান্ডে টাকা ছিল না। এখন টাকার ব্যবস্থা হয়েছে।

    উপপ্রধান মোর্শেদ আলির কথায়, মানুষের জন্য কিছু করতে পেরে ভালো লাগছে। আমরা নিজেদের বেতন দিয়ে ফান্ড শুরু করলাম। 

    সদস্যরা ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ৬০০ টাকা গ্রাম পঞ্চায়েত উন্নয়ন তহবিলে দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের উপস্থিতিতে গ্রাম পঞ্চায়েতের সেক্রেটারি ও এগজিকিউটিভের হাতে প্রতীকি চেক তুলে দেন। সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, কালিয়াচক আবার দৃষ্টান্ত স্থাপন করল। বিভিন্ন পঞ্চায়েতের প্রধান ও সদস্যদের প্রতি মানুষ যখন বীতশ্রদ্ধ, তখন আলিনগর পঞ্চায়েত উন্নয়নে জেলার সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতকে পথ দেখিয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)