• আমি মুসলিমদের পাহারাদার ছিলাম - আছি ও থাকব: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩
  • এবার নিজেকে রাজ্যের মুসলিমদের পাহারাদার বলে ঘোষণা করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় দলীয় সভা থেকে একথা বলেন তিনি। মুসলিমদের তিনি বোঝান, বিজেপির আসন বাড়লে আপনাদের ওপর অত্যাচার বাড়বে।

    এদিন নাম না করে ISFকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘দয়া করে ভোটটা সিপিএমকে, বিজেপিকে, বা কারও কথা শুনে কোনও সাম্প্রদায়িক বিভেদকারীদের কথা শুনে ভোট দেবেন না। এরা বিজেপির টাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রসের ভোট কাটার জন্য। একদল বসন্তের কোকিল এসেছে। তারা এলাকায় এলাকায় ঘুরে ধর্মীয় সভা করার নাম করে তৃণমূলের ভোট কাটার চেষ্টা করছে। সংখ্যালঘু বন্ধুরা সাবধান। মনে রাখবেন, আপনাদের নিরাপত্তা ও জীবন সুনিশ্চিত। আপনাদের আর্থিক নিরাপত্তা, সামাজিক নিরাপত্তা সব কিন্তু আমরা করেছি। আর যদি আপনারা যারা বিজেপির টাকা নিয়ে ভাঁওতা দিচ্ছে তদের কথায় ভুলে যান তাহলে মনে রাখবেন ধর্ম আলাদা, রাজনীতি আলাদা’।

    রাজ্যের মুসলিমদের মমতার হুঁশিয়ারি, ‘সব ধর্মকে আমরা ভালোবাসি। কিন্তু মনে রাখবেন, বাংলাটা কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে রাখতে হবে। আর আমরা যদি আসন কম পাই তাহলে কিন্তু বিজেপির অত্যাচার আরও বাড়বে। আপনারা দেখেছেন ক্যা-থেকে শুরু করে NRC, কম করেনি ওরা। আমি মনে করি CAA বলে ওরা যেটা বলছে ডিএমের হাতে দায়িত্ব দিন, তিনি দেখে নেবেন। কিন্তু আপনারা কে? ভোটের আগে খবরদারি করার? তাই আমি সবাইকে বলব, ভুল বুঝবেন না’।

    এর পরই মমতার দৃপ্ত ঘোষণা, ‘মনে রাখবেন, আমরা যতদিন আছি, আপনাদের ওপরে কেউ কোনও ক্ষতি করার চেষ্টা করলে আমি আপনাদের পাহারাদার ছিলাম আছি ও থাকব’।

    মমতার মন্তব্যকে কটাক্ষ করে বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন, মমতার রাজত্বে মুসলিমদের কী অবস্থা তা সবাই দেখতে পাচ্ছে। রাজ্যে ১০ জন তৃণমূল কর্মী খুন হলে ৮ জনই মুসলিম। আর অধিকাংশ জায়গায় মুসলিমদের নামই খুনের ঘটনায় জড়াচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুসলিমদের সঙ্গে মুসলিমদের লড়িয়ে নিজের রাজনৈতিক ফয়দা তোলার চেষ্টা করছেন। রাজ্যে দিনমজুরির কাজও নেই, মুসলিম যুবকদের জন খাটতে ভিনরাজ্যে যেতে হচ্ছে। মৃত্যুর পর অনেকের বাবা মা সন্তানের মাটি পাচ্ছেন না। ওদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করছেন তিনি মুসলিমদের পাহারাদার। এর থেকে হাস্যকর কী হতে পারে?

     
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)