• কে বলেছে গৃহবধূরা বেকার? তাঁদের অবদান অনেক বড়…সম্ভাব্য বেতনও জানাল হাইকোর্ট
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩
  • হাউজওয়াইফ, গৃহবধূ। ইদানিং বলা হয় হোমমেকার। তবে ব্যাপারটা সেই একই রকম। সকাল থেকে ঘর গোছানো, রান্না করা, ছেলে মেয়ে মানুষ করা এমন নানা কাজ। তার মধ্যে একটু সময় পেলে মোবাইল দেখা। এভাবেই কেটে যায়। অথচ সেই মানুষগুলো রাতদিন পরিশ্রম করছেন বলেই টিকে থাকে সংসারটা। আর বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট জানাল, গৃহবধূদের বেকার বলা যাবে না। তাঁরাও স্বোপার্জনকারী। সংসারে তাঁরা দিনরাত যে কাজ করেন তার মূল্য রয়েছে। 

    বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তের বেঞ্চে এই মামলাটি উঠেছিল। প্রায় ১৫ বছরের পুরানো একটা মামলা। আর সেই মামলার রায় দেওয়ার সময় বিচারপতি বলেন, কে বলেছে গৃহবধূরা বেকার? সংসারে গৃহবধূদের অবদান অনেক বড়। তাঁরা কোনও ছুটি না নিয়ে ৩৬৫ দিন সংসাদের যাবতীয় কাজ করেন। একই কাজ অন্য কাউকে দিয়ে করালে যে খরচ হত তার ব্যয় করতে হয় না তাঁদের দৌলতেই। তাই সংসারে ওঁদের কাজের আর্থিক মূল্যও রয়েছে। সেই জন্যই গৃহবধূদের বেকার বলা যাবে না। তাঁদেরকে উপার্জনকারী হিসাবেই দেখতে হবে। 

    এবার মূল মামলার বিষয়টি একটু জানা যাক। বর্ধমানের ক্ষীরগ্রামে বাড়ি ছিল ওই গৃহবধূর। বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাস ধরার জন্য় যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় একটা বাস তাকে পিষে দিয়ে চলে যায়। বর্ধমানের মোটর অ্যাক্সিডেন্ট ক্লেইম ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন তাঁর পরিবার। ৬ লক্ষ টাকা তারা ক্ষতিপূরণ হিসাবে দাবি করেন। 

    কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে এই মামলা হয় তারা ১ লাখ ৮৯ হাজার ৫০০ টাকা দেয়। কিন্তু পরিবার এরপর হাইকোর্টে যায়। তাদের পক্ষের আইনজীবী হিসাব করে দেখান গৃহবধূ কত টাকা সম্ভাব্য আয় করতে পারতেন। তবে সংশ্লিষ্ট সংস্থা দাবি করে ওই মহিলা গৃহবধূ ছিলেন। কোনও আয় করতেন না। 

    আর সেই মামলাতেই আদালতের তরফে বলা হয়, কে বলেছে গৃহবধূরা বেকার? সংসারে গৃহবধূদের অবদান অনেক বড়। তাঁরা কোনও ছুটি না নিয়ে ৩৬৫ দিন সংসাদের যাবতীয় কাজ করেন। একই কাজ অন্য কাউকে দিয়ে করালে যে খরচ হত তার ব্যয় করতে হয় না তাঁদের দৌলতেই।

    সেই হিসাবে মাসে ৩০০০ টাকা করে সম্ভাব্য আয় ধরা হয়। সেই আয় হিসাব করে সুদ হিসাবে ৬ লাখ ৪১ হাজার ২০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হয়। আগের দেওয়া টাকাটা বাদ দিয়ে বাকি টাকা মেটাতে হবে সংস্থাকে। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)