• স্কাইওয়াক তৈরির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা, পুনর্নির্মাণে KMC–কে ৫ কোটি দেবে সরকার
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩
  • কালীঘাট স্কাইওয়াক নির্মাণের কাজ চলছে জোর কদমে। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে এই নির্মাণ। এর ফলে মন্দির সংলগ্ন একাধিক রাস্তা এবং ফুটপাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই সমস্ত রাস্তা সংস্কার করবে কলকাতা পুরসভা। তবে কিছু কিছু রাস্তা এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে সেগুলি সংস্কার করলেই চলবে না, সেই রাস্তাগুলির পুনর্নির্মাণ করতে হবে। যার মধ্যে রয়েছে কালী মন্দির রোড, সদানন্দ রোড এবং গুরুপদ হালদার রোড। এর জন্য ৫.৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করবে রাজ্য সরকার।

    রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর মঙ্গলবার জানিয়েছে, রাস্তা এবং ফুটপাথ সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ অর্থ মঞ্জুর করা হবে। রাস্তা ও ফুটপাথ পুনর্গঠনের জন্য ৫.৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করার আশ্বাস দিয়েছে নগরোন্নয়ন দফতর। এর পাশাপাশি স্কাইওয়াক নির্মাণ কাজের জন্য ৮২.৬ কোটি টাকা মঞ্জুর করতে সম্মত হয়েছে। রাস্তা ও ফুটপাথ পুনর্নির্মাণের ইতিমধ্যেই দরপত্র ডেকেছে। বিষয়টি মেয়র পারিষদের কাছে অনুমোদনের জন্য রাখা হবে। পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, এবিষয়ে সম্মতি পাওয়ার পরেই রাস্তা এবং ফুটপাথ পুনর্নির্মাণের জন্য একটি নির্দেশ জারি করা হবে। প্রসঙ্গত, স্কাইওয়াক তৈরির জন্য প্রথমে ৭৭.৩ কোটি টাকা অনুমোদন করেছিল নগরোন্নয়ন দফতর। তবে নির্মাণকারী সংস্থার তরফে জানানো হয় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তারা কাজ শেষ করতে পারবে না। তাই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, ওই এলাকায় ব্রিটিশ আমলের একাধিক পাইপ লাইন রয়েছে। তবে নির্মাণ কাজের ফলে সেগুলি পরিবর্তন করা হয়েছে। সেই কারণে রাস্তাগুলি ব্যাপকভাবে  ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই রাস্তা সংস্কার এবং পুনর্নির্মাণের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। উল্লেখ্য, কালীঘাট স্কাইওয়াকের দৈর্ঘ্য হবে ৫০০ মিটার এবং চওড়া হবে ১০ মিটার। কালীঘাট মন্দির থেকে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী রোডের দিকে যাবে এই স্কাইওয়াক। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে কালীঘাট স্কাইওয়াক তৈরির কাজ শুরু হয়। গত এপ্রিলে কাজ শেষ না হওয়া নিয়ে এর আগে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে মেয়র ফিরহাদ হাকিম নির্মাণকারী সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন। কিন্তু তারপরেও সেই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হয়নি। তাই দ্রুত কাজ শেষ করতে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ করেছে নগরোন্নয়ন দফতর।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)