‘লোকে দিদি বলে রেট জিগ্গাসা করছে’, মেজাজ হারিয়ে চিৎকার, শেষে কান্না নন্দিনীর!
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩
ডালহৌসীর অফিসপাড়ার নন্দিনী দিদি সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে আজ স্টার! ইউটিউব, ফেসবুকের সুবাদে জনপ্রিয়তা পাওয়া পাইস হোটেলের মুখ নন্দিনী এখন নাম লিখিয়েছেন সিনেমায়। তবে জনপ্রিয়তা বড় বালাই! ফেমাস হওয়ার দৌলতে হামেশাই কটাক্ষের মুখে পড়েন নন্দিনী। কিন্তু এবার যা ঘটল তার জেরে রাস্তায় দাঁড়িয়েই কেঁদে ফেললেন ভাইরাল দিদি।
রোজই নন্দিনীর দোকানে ভিড় জমান ডজন খানেক ভ্লগার-ইউটিউবার। সম্প্রতি এক ইউটিউবার দিদির পাইস হোটেলে পৌঁছাতেই রেগে আগুন নন্দিনী। চিৎকার করতে করতে তাঁদের সেখান থেকে চলে যেতেন বলেন। কিন্তু হলটা কী নন্দিনী দিদির? ফুডি ভাই নামের এক ইউটিউবার সেই ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। সেখানে নন্দিনীর কথা থেকে জানা যায়, দুই সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সারের ভুলে সোশ্যালে ফাঁস হয়ে যায় তাঁর মোবাইল নম্বর। এতে বিপত্তি।
নন্দিনী কান্নার সুরে বলেন, ‘লোকে দিদি বলে, তারপর রেট জিগ্গাসা করে। এই ধরণের মানুষ আমি রোজ পাই। ভয়ে ফোন ধরতে পারি না।’ অভিযুক্ত দুই সমাজ মাধ্যম প্রভাবীর তরফে ফোন নম্বর বদলে ফেলার উপদেশ পেয়ে, নন্দিনী বলেন নম্বর বদলে ফেলা মোটেই সহজ নয়। নন্দিনী এমনটাও বলেন, ‘অনেকেই তোদের বিরুদ্ধে আমাকে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছিল। আমি নিইনি’। পরে হাত জোড়ের ভঙ্গিতে নন্দিনী দিদি বলেন, ‘তোদের থেকে আমার ভালোর কিছু দরকার নেই, তোদের দিয়ে খারাপ কিছু দরকার নেই। তোরা চলে যা। তুই এই ভিডিয়োটা ছাড়,আর ভিউজ কামা…’। কথাকাটাকাটি তাতেও থামেনি।
নন্দিনী দোকানে এক ব্যক্তিকে নিজের ফোন নম্বর দিচ্ছিলেন। তখন ভিডিয়ো রেকর্ডিং অন ছিল ওই ইউটিউবারের। সেটি এডিট না করেই ইন্টারনেটে আপলোড করে দেয় তারা, এর জেরেই প্রতিদিন নানান অশ্লীল প্রস্তাব আসছে নন্দিনীর কাছে। তাতেই চটেছেন নন্দিনী। স্মার্ট দিদির বাবাও দুই অভিযুক্তকে দোকান থেকে চলে যেতে বলেন। সঙ্গে জানান, ‘তোমাদের দু-চার লাখ দরকার হলে আমার থেকে নিয়ে নিও’। সেই মন্তব্য আবার হজম হচ্ছে নেটপাড়ার। মেয়ে-বাবা দুজনেই ‘অহংকারী’ বলে কটাক্ষ ধেয়ে আসে।
কেউ আবার লেখেন, ‘এটা খাওয়ার হোটেল না শ্য়ুটিং স্পট! কী ন্যাকামি’। এদিকে আবার অভিনয়ের জগতেও পা রেখে ফেলেছেন নন্দিনী। সিনেমার নাম ‘তিন সত্যি’। কেন্দ্রীয় চরিত্রেই রয়েছেন তিনি। একই সিনেমায় রয়েছেন উত্তম কুমারের নায়িকা সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ও। ছবিতে নন্দিনীর চরিত্রের নাম নিলাক্ষী। যিনি পেশায় একজন লেখিকা, সঙ্গে আবার গোয়ান্দাও। ছবির বেশিরভাগ অংশের শ্যুটিং শেষ। এখন নন্দিনীর রুপোলি ইনিংস দেখার পালা।