• Saveera Parkash: মোদীর 'জবরা ফ্যান' পাকিস্তানের হিন্দু প্রার্থী সাভেরা, নমো-স্তুতি গেয়ে কী বললেন পাক-কন্যা?
    এই সময় | ০৫ জানুয়ারি ২০২৪
  • পাকিস্তানের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে মনোনয়নপত্র পেশ। এতদিন সেদেশে কোনও হিন্দু মহিলাকে নির্বাচনের ময়দানে লড়তে দেখা যায়নি। দেশের আসন্ন জাতীয় সংসদের নির্বাচনে এবার প্রার্থী হয়েছেন হিন্দু তরুণী সাবিরা প্রকাশ, যা নিয়ে পাকিস্তান সহ ভারতেও শুরু হয়েছে জোর চর্চা। পিকে-২৫ নম্বর আসনে মনোনয়নপত্র পেশ করেছেন সাভেরা। তিনি সে দেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি পাকিস্তান পিপলস পার্টির হয়ে লড়াই করবেন। ওই দলেরই নেত্রী ছিলেন বেনজির ভুট্টো।সাভেরার কথায়, 'খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের সাধারণ আসন থেকে সম্ভবত এই প্রথম কোনও হিন্দু মহিলা টিকিট পেয়েছেন।' খুশির আভাস সাভেরার গলায়। বলেন, 'টিকিট পাওয়ার পর থেকে বহু মানুষের ভালোবাসা পাচ্ছি। লোকে আমায় হিন্দু নারী নয়, বুনেরের মেয়েই বলছে।' অকপট ভাবে সাভেরার বলতে কোনও দ্বিধা নেই, নরেন্দ্র মোদীকেই নেতা হিসেবে পছন্দ করেন তিনি।সাভেরার সাক্ষাৎকার নিয়েছিল এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করা হয়েছিল তাঁকে। সেসব প্রশ্নের কী জবাব দিলেন সাভেরা?উত্তরে সাভেরার জবাব, 'আমি সম্ভবত প্রথম সংখ্যালঘু মহিলা প্রার্থী যে বুনেরের সাধারণ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। আমি গর্ব করে বলছি, মনোনয়ন দাখিলের পর জনগণের অনেক ভালোবাসা পাচ্ছি। মানুষ আমাকে একজন হিন্দু নারী হিসেবে নয়, একজন পুখতানা অর্থাৎ পশতুন সম্প্রদায়ের একজন হিসেবে ভালোবাসে। হ্য়াঁ এটা ঠিক এলাকায় অস্থিরতা রয়েছে, বিরোধও চলছে। তবে প্রত্যেক সমাজেই দুষ্টরা লুকিয়ে রয়েছে। আমাদের তাদের হারাতে হবে। আমাদের এখন স্বাস্থ্য, বেকারত্ব ও শিক্ষা নিয়ে কথা বলা উচিত।'এর উত্তরে সাভেরা বলেন, 'কখনোই ধর্মের কারণে বৈষম্য অনুভব করিনি। হ্যাঁ, এখানে অবশ্যই নারীর প্রতি বৈষম্য রয়েছে। বিশেষ করে বুনেরে নারীদের সবসময় আড়ালে রাখা হয়। আমি তিন মাস হাসপাতালে কাজ করেছি। তখন দেখেছিলাম গর্ভবতী মহিলারাই ৮-৯ মাসের মাথায় সেখানে চেকআপের জন্য আসেন। শুরুতে চেকআপ না করায় গর্ভধারণের সমস্যা বেড়ে যায়। অনেক সময় বুনের থেকে পেশোয়ার বা ইসলামাবাদে পাঠাতে হয়। বুনের থেকে সেখানে যেতে প্রায় চার ঘণ্টা সময় লাগে। পথে অ্য়াম্বুলেন্সে গর্ভস্থ অবস্থায় অনেক শিশু মারা যায়। মহিলাদের মৃত্যু ভয় তো রয়েইছে। বুনেরে কোনও জরুরি চিকিৎসা সুবিধা নেই। চিকিৎসকদেরও সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নেই। আমলাতন্ত্র বা রাজনীতিতে যোগ দিয়ে এই অধিকারগুলি পাওয়া যায়, তাই আমি ২০২২ সাল থেকে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করি। তবে এই সময়ে রাজনীতিতে আসার সুযোগ পেয়েছি।'এ প্রশ্নের উত্তরে সাভেরা বলেন, 'আমাকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সেতু বলা হচ্ছে। বুনেরের মানুষ আমাকে মেয়ে বলে ডাকে। আমি আমার দায়িত্ব বুঝতে শুরু করেছি। আমাদের নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন, অর্থাৎ এসসিও-র বৈঠকে গোয়া গিয়েছিলেন। আমি মনে করি দুই দেশই তাদের সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছে। বুনেরের কারণে আমার নাম ভারতে পৌঁছেছে। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে প্রতিটি সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে সহায়ক প্রমাণ করার জন্য আমার প্রচেষ্টা থাকবে। আমি চাই দুই দেশ বসে আলোচনা করুক, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান আসবে, আমি এ ব্যাপারে ইতিবাচক।'উত্তরে সাভেরার সাফ জবাব, 'ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সবচেয়ে পছন্দ করি। ওঁর ব্যক্তিত্ব আমার অন্যতম পছন্দের। উনি ভারতকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। ভারতের অর্থনীতি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। মোদীর ব্যক্তিত্বে ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব দৃশ্যমান। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যেও সরলতাও রয়েছে। ওঁর মধ্যে শক্তি ও সরলতার অতুলনীয় সমন্বয় রয়েছে। এই গুণগুলি একজন নেতাকে জনতার দরবারে পৌঁছে দেয়। এসব কারণেই আমি প্রধানমন্ত্রী মোদীর ব্যক্তিত্বকে সবচেয়ে আকর্ষণীয় বলে মনে করি।'রাজ্য, দেশ, দুনিয়া, বিনোদন, খেলার সব খবর সবার আগে পেতে চান?'হোয়াটসঅ্যাপে ফলো করুন এই সময়কে।
  • Link to this news (এই সময়)