• শেখ শাহজাহান কোথায়? তৃণমূল-বিজেপির ভুল ভুলাইয়া তত্ত্ব! উত্তর নেই ইডিরও
    এই সময় | ০৯ জানুয়ারি ২০২৪
  • শেখ শাহজাহান কোথায়? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। সন্দেশখালির এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা কী গা ঢাকা দিয়ে নিজের এলাকাতেই আছেন? নাকি, নৌকাযোগে সুন্দরবনের কোনও প্রত্যন্ত এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছেন নাকি সীমান্ত পেরিয়ে সোজা বাংলাদেশ। এর উত্তর নেই গোয়েন্দাদের কাছেও। গত শুক্রবারের ঘটনার পর থেকেই টিকিটিও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না এই বেতাজ বাদশার।বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, গত পরশু রাত পর্যন্ত শাহজাহান ছিলেন সন্দেশখালির বেরমজুর পঞ্চায়েত প্রধান হাজী সাদ্দিক মোল্লার বাড়িতে। পালটা, পঞ্চায়েত প্রধান বলছেন, 'উনি যদি আমার বাড়িতে থাকেন সেটা শুভেন্দু অধিকারী প্রমাণ দেখাক। আমার বাড়ি থাকলে তো ওঁকে এসে ইডি ধরে নিয়ে যেতে পারে।' তিনি আরও বলেন, 'কেন পালাবেন? তিনি তো কোনও অপরাধ করেননি। শাহজাহান তো এলাকাতেই রয়েছেন।'শাহজাহান শেখের ভাই বলছেন, উনি বাংলাদেশ যদি গিয়েই থাকেন, সেখানে সীমান্ত তো বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের অধীনে। তিনি বলেন, ' কোনও প্রশ্নই ওঠে না, তিনি বাংলাদেশ গিয়েছেন। বিজেপি নেতারা তো বলে দিচ্ছেন ওঁরা কোথায় গিয়েছেন। ওঁরা ভালো বলতে পারবেন। আমি জানি না, কোথায় গিয়েছেন।'সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো দাবি করেছেন, শেখ শাহজাহান তো জন নেতা। উনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে থেকে কাজ করেন। বিধায়ক বলেন, 'উনি এলাকায় আছেন। মানুষকে ছেড়ে উনি কোথাও যাবেন না। উনি এলাকাতেই আছেন।' ইতিমধ্যে তাঁর অডিয়ো বার্তা সবাইকে জেনেছে। তাঁর আইনজীবীরা কোর্টে হাজির হবেন অভিযোগ মোকাবিলা করার জন্য।'ইতিমধ্যে, শাহজাহানের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। ২০১৯ সালে সন্দেশখালিতে খুন হয়েছিলেন ৩ জন বিজেপি কর্মী। নিহত বিজেপি কর্মীদের পরিবারের হয়ে হাইকোর্টে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এর আগে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে শাহজাহান রয়েছেন বলে জোরালো দাবি করেন। শুভেন্দু মঙ্গলবার জানান, সরবেরিয়া থেকে ধামাখালির কয়েক কিমির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ আবার বলেন, 'সুন্দরবনের দ্বীপ দিয়ে ওপারে চলে যাওয়া কোনও ব্যাপার না। বহু দ্বীপ আছে সেখানে। আমি তো শুনলাম বাসন্তীতে এসে উনি কোনও নেতার বাড়িতে লুকিয়ে আছে। জানি না কতটা সত্য!'ইতিমধ্যে, ইডি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে। পুলিশের তরফেও এখনও পর্যন্ত শেখ শাহজাহানের কোনও খোঁজ দেওয়া হয়নি। অন্যান্য কিছু মামলায় আরও দুটি কেন্দ্রীয় সংস্থা তাঁর পিছু নিয়েছে। সমস্ত এয়ারপোর্টে ইতিমধ্যে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, শেখ শাহজাহানকে মোট ১৯৪ জন বেতনভুক্ত নিরাপত্তারক্ষী রয়েছে। একটি কোর গ্রুপ রয়েছে ১২ জন দেহরক্ষীর। সবাইকে নিয়েই শাহজাহান অন্তরালে। আদৌ কি ধরা পড়বেন? উত্তর অজানা।রাজ্য, দেশ, দুনিয়া, বিনোদন, খেলার সব খবর সবার আগে পেতে চান?'হোয়াটসঅ্যাপে ফলো করুন এই সময়কে।
  • Link to this news (এই সময়)