• হার্ভার্ডের বিজ্ঞানী সূচনা কলকাতার মেয়ে, নজরকাড়া ক্যারিয়র! জানলে চমকে উঠবেন
    এই সময় | ১০ জানুয়ারি ২০২৪
  • নিজের চার বছরের সন্তানকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর সংবাদের শিরোনামে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা স্টার্ট-আপ সংস্থা মাইন্ডফুল এআই ল্যাবের সিইও সূচনা শেঠের কীর্তি। পুলিশি হেফাজত হয়েছে তাঁর। জানা গিয়েছে, ছেলের খুনি সূচনা কলকাতার মেয়ে। পড়াশোনা ও বেড়ে ওঠা তিলোত্তমাতেই।কলকাতাতে জন্ম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা স্টার্ট-আপ সংস্থা মাইন্ডফুল এআই ল্যাবের সিইও সূচনা শেঠের। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছিলেন তিনি। স্কুলের গণ্ডি পার করে কলকাতার ভবানীপুর এডুকেশন সোসাইটিতে ফিজিক্স অনার্স নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখান থেকে স্নাতক হওয়ার পর ভর্তি হয়েছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে।২০০৮ সালে লাভ করেছিলেন পদার্থবিদ্যায় প্রথম বিভাগে স্নানকোত্তর ডিগ্রি। জানা গিয়েছে, প্লাজমা ফিজিক্স এবং অ্যাস্ট্রোফিজিক্স ছিল সূচনার স্পেশাল পেপার। ফিজিক্সে স্নাতকোত্তর হওয়ার পাশাপাশি কলকাতার রামকৃষ্ণ মিশন থেকে সংস্কৃতে পিজিডিপ্লোমা শংসাপত্র রয়েছে তাঁর।কর্মজীবনেও তাঁর সাফল্য ছিল নজরকাড়া। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা স্টার্ট-আপ সংস্থা মাইন্ডফুল এআই ল্যাবের সিইও ছিলেন সূচনা শেঠ। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্ল্যাটফর্ম লিংকডিন পেজের তাঁর প্রোফাইল চমকে ওঠার মতো। ২০২১ সালে এআই এথিক্সে প্রথম ১০০ জনের মধ্যে ছিল তাঁর স্থান। ডেটা সায়েন্সের অভিযজ্ঞতা রয়েছে। কাজ করেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্কম্যান ক্লেইন সেন্টারে। ম্যাসাচুসেটসের বস্টনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালনায় অবদানও রেখেছেন সূচনা।পড়াশোনা এবং কর্মজীবনে ব্যাপক সাফল্যের পরও কেন নিজের সন্তানকে খুন করলেন, তা নিয়ে সূচনার কলেজের পড়ুয়া এবং অধ্যাপকদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ভবানীপুর এডুকেশন সোসাইটির এক অধ্যাপক জানিয়েছেন, উজ্জ্বল ছাত্রী ছিলেন এআই ল্যাবের সিইও। গবেষণার জন্য রমন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ফলোশিপ পেয়েছিলেন। এমন ঘটনা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না ওই অধ্যাপক।তবে, পুলিশ ঘৃণ্য কাজের জন্য সূচনার সঙ্গে স্বামী ভেঙ্কট রমনের কলহকে প্রধান দায়ি বলে মনে করছে। জানা গিয়েছে, সূচনার স্বামীও একজন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গবেষক। ২০১৯ সালে ছেলের জন্মের পরেই তাঁদের দাম্পত্য জীবনে শুরু হয় অশান্তি। আর তা ক্রমশই বাড়তে থাকে। অবশেষে এই কলহ গড়ায় বিচ্ছেদে। ছেলের অধিকার সূচনা পেলেও, প্রতি রবিবার বাবার সঙ্গে ছেলের দেখা করতে দিতে হবে বলে জানিয়েছিল আদালত।এটাই সূচনাকে ক্ষুব্ধ করেছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। আর এই ক্ষোভ থেকেই খুন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গেছে শ্বাসরোধ করেই একরত্তিকে খুন করেছেন মাইন্ডফুল এআই ল্যাবের সিইও। এক্ষেত্রে তোয়ালে কিংবা বালিশ ব্যবহার করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের পর খুনের আসল কারণ জানা যাবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।রাজ্য, দেশ, দুনিয়া, বিনোদন, খেলার সব খবর সবার আগে পেতে হোয়াটসঅ্যাপে ফলো করুন এই সময়কে।
  • Link to this news (এই সময়)