• 'আপনি টাকার বান্ডিলটা নিন...', লোভে পড়ে প্রতারিত মহিলা
    এই সময় | ১০ জানুয়ারি ২০২৪
  • অভিনব কায়দায় প্রতারণার শিকার এক মহিলা। পুলিশি তৎপরতায় অবশেষে গ্রেফতার দুই প্রতারক,উদ্ধার মূল্যবান সোনার গয়না। ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনার দক্ষিণ বারাসত এলাকা। ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।জানা গিয়েছে, বারুইপুর থানার অন্তর্গত দক্ষিণ গড়িয়ার বাসিন্দা অর্চনা চণ্ডী নামে এক মহিলা গত ৭ জানুয়ারি দক্ষিণ বারাসতে তাঁর নাতির হোস্টেলে দেখা করতে যান। দক্ষিণ বারাসত স্টেশন রোড থেকে একটি অটোয় চাপেন। অটোটি ছাড়ার পর ভিতরে থাকা এক যুবক একটি টাকার বান্ডিল নিয়ে ওই মহিলার কাছে দিয়ে বলে, 'এই টাকা আমি কুড়িয়ে পেয়েছি, এটা রাখার জায়গা নেই, আপনি যদি এটা রাখেন তাহলে খুব ভালো হয়। আমার কাছে গাড়ি ভাড়া দেওয়ার মত কোনও টাকা পয়সা নেই, আপনি ১০০ টাকা আমায় দিন।' এভাবে মহিলার কাছ থেকে ওই যুবক প্রথমে ১০০ টাকা নেয়। তারপরওই যুবক অর্চনা চণ্ডীকে বলে, 'টাকাটা আপনার কাছে থাকুক, আপনার কানের পাশা দু'টো আমাকে খুলে দিন।' মহিলা এক বান্ডিল টাকার প্রলোভনে পড়ে নিজের কানের মূল্যবান সোনার পাশা যুবককে দিয়ে দেয়। এরপর মহিলা মণিমেলা মাঠের কাছে অটো থেকে নেমে পড়েন এবং অটো চলে যায়। অভিযোগ, পরে তিনি টাকার বান্ডিল খুলে দেখেন, সেটি আসলে কাগজের বান্ডিল। আর তার ওপরে একটা ১০ টাকা লাগানো আছে। সঙ্গে সঙ্গে মহিলা বুঝতে পারে যে তিনি প্রতারিত হয়েছেন।এরপর জয়নগর থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান অর্চনা চণ্ডী। প্রতারিত মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে জয়নগর থানার আইসি পার্থসারথী পালের নির্দেশে এসআই সায়ন ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ দল ওইদিন রাতেই বিশেষ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে যুক্ত দুই যুবককে গ্রেফতার করে। ধৃতদের নাম সাইদুল মণ্ডল ও আলি হোসেন মোল্লা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, আলি হোসেন মোল্লার বাড়ি জয়নগর থানার অন্তর্গত রমাকান্ত বাটি পদ্মেরহাট এলাকায়। আর সইদুল মণ্ডল থাকেন মগরাহাট থানার অন্তর্গত রামনগর লস্কর পাড়ায়। ঘটনার দিন দু'জনেই অটোর মধ্যে ছিল এবং ওই মহিলাকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে সোনার গহনা নিয়ে চম্পট দেয়।ধৃতদের আদালতে পেশ করা হলে ৫ দিনের পুলিশ গেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এরপর ধৃতদের নিয়ে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে প্রতারিত মহিলার সোনার কানের পাশা এবং আরও একজোড়া সোনার রিং উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় ধৃত যুবকদের সঙ্গে আরও কারা কারা জড়িত রয়েছে, কিংবা সেদিন যে অটোতে চেপে তারা এই অপারেশন চালিয়েছিল, সেই অটোচালকও ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কি না, সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে জয়নগর থানার পুলিশ।রাজ্য, দেশ, দুনিয়া, বিনোদন, খেলার সব খবর সবার আগে পেতে চান?'হোয়াটসঅ্যাপে ফলো করুন এই সময়কে।
  • Link to this news (এই সময়)