• Tiljala Incident : বন্দুকের বাট দিয়ে মাথায় আঘাত, নিহত প্রোমোটার
    এই সময় | ১১ জানুয়ারি ২০২৪
  • প্রোমোটিং-কে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই ঠিকাদারের সঙ্গে বিবাদ চলছিল। অভিযোগ, ধার নিয়েও শোধ গিতে পারছিলেন না তপসিয়ার বাসিন্দা সাদেক খান। সেই বিবাদ চরমে পৌঁছয় গত রবিবার। স্থানীয়দের দাবি, টাকা দিতে না পারায় ফোন করে ডেকে এনে সাদেকের মাথায় বন্দুকের বাট দিয়ে আঘাত করা হয়। তাঁকে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায় চার অভিযুক্ত।ওই দিনই গুরুতর আহত অবস্থায় সাদেককে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। বুধবার সকালে তিনি মারা যান। পরিবারের দাবি, বেশ কিছুদিন ধরে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হলেও, পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি। এদিন তিনি মারা গেলে অবশ্য পুলিশি তৎপরতা বাড়ে। লালবাজার সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুনের মামলা) ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এদিন রাতে অভিযুক্ত আব্দুল মান্নানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।গত রবিবার তিলজলার সাতগাছিয়া এলাকায় দুপুর আড়াইটে নাগাদ ঘটনার সূত্রপাত। মৃতের স্ত্রী ও ভাইপোর অভিযোগ, টাকা চেয়ে বেশ কিছুদিন ধরে গালিগালাজ করছিলেন অভিযুক্ত আব্দুল, জুনেদ ও সোহেল। ওই দিন দুপুরে ফোনে ফের গালিগালাজ করা হলে সাতগাছিয়া এলাকায় তাদের সঙ্গে দেখা করতে চান সাদেক খান। অভিযোগ, সাদেক সেখানে গেলে আব্দুল, জুনেদরা কেউ বন্দুকের বাট দিয়ে, কেউ লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করতে থাকে তাঁকে। সাদেককে বাঁচাতে গেলে আহত হন পরিবারের সদস্যরাও। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয় স্থানীয় নার্সিংহোমে।রবিবারই খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হয়। এদিন তাঁর মৃত্যুর পরে সেই ধারা বদলে খুনের মামলা দায়ের হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, তপসিয়া রোডের বাসিন্দা সাদেকের বয়স ৫৫ বছর। তিনি মূলত প্রোমোটিংয়ের কাজ করতেন। অভিযোগ, বেশ কয়েক বছর আগে অভিযুক্তদের থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন সাদেক। সেই টাকা শোধ করতে পারছিলেন না তিনি। ইদানীং অবশ্য প্রোমোটিং ছেড়ে কাপড়ের ব্যবসায় তিনি যুক্ত ছিলেন।তাঁর পরিবারের অভিযোগ, শুধু মারধর নয়, ওই দিন টাকা, সোনার চেন ও আংটিও ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্তরা। মৃতের ভাইপো জানিয়েছেন, রবিবার কাকাকে ফোন করে ডাকা হয়েছিল। তিনি সেখানে যেতেই এলোপাথাড়ি মারধর শুরু হয়। সাদেকের মাথার রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছিল। মাথা ফাটে সাদেকের ভাইপোরও।রাজ্য, দেশ, দুনিয়া, বিনোদন, খেলার সব খবর সবার আগে পেতে চান?'হোয়াটসঅ্যাপে ফলো করুন এই সময়কে।
  • Link to this news (এই সময়)