পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, মানকর গ্রামের জনসংখ্যা কুড়ি হাজারের বেশি। প্রায় ২০টি পাড়া রয়েছে। মানকরে রয়েছে একটি কলেজ, দু’টি উচ্চ বিদ্যালয়, গ্রামীণ হাসপাতাল, স্টেশন। কাজেই কর্মসূত্রে বসবাসের জন্য এই গ্রামে অনেকে আসেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই গ্রামের অন্যতম সমস্যা নিকাশি। গ্রামের বেশির ভাগ জায়গায় পাকা নর্দমা রয়েছে। কিন্তু, নিয়মিত পরিষ্কার না করায় সেগুলি প্রায় মজে যেতে বসেছে।
বাসিন্দাদের দাবি, মানকরের রথতলা, হাটতলা, কুয়োতলা, চৌরঙ্গি-সহ বিভিন্ন জায়গায় দীর্ঘ দিন ধরে নর্দমা সাফাই হয়নি। এলাকার বাসিন্দা সুমিত মণ্ডল, অরিন্দম ঘোষেরা বলেন, “হাটতলা এলাকায় একটি জলের ট্যাঙ্ক রয়েছে। সেখানকার জল নিকাশি নালায় পড়ছে। তবে, ওই নিকাশি নালাটি সেখানেই শেষ হয়ে যাওয়ায় জল উপচে রাস্তা দিয়ে বইছে। ওই নোংরা জল ডিঙিয়েই সকলকে যাতায়াত করতে হয়।“ তাঁরা জানান, আবার রথতলা এলাকায় নালাগুলি দীর্ঘ দিন সাফাই হয়নি। চৌরঙ্গি এলাকার বাসিন্দা জয়গোপাল দে বলেন, “মানকরের সর্বত্র নিকাশির সমস্যা রয়েছে। সে সব জায়াগা মশার আঁতুড়ঘরে পরিণত হচ্ছে। অবিলম্বে সাফাইয়ের প্রয়োজন রয়েছে।” মানকর কলোনি এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, পঞ্চায়েতের তরফে ব্যবস্থা না নেওয়ায়, নিজেরা উদ্যোহী হয়ে এলাকার নালা সাফাই করছেন।
যদিও মানকর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তন্ময় ঘোষ বলেন, “আমরা আস্তে আস্তে সব পরিষ্কার করছি। পাশাপাশি, স্থানীয় বাসিন্দাদেরও সচেতন হতে হবে। কারণ, প্লাস্টিক-সহ অন্য বর্জ্য ফেলা বন্ধ না করলে, নালাগুলি মজে যাবে। সে বিষয়ে সচেতন করতে প্রচারওচালানো হচ্ছে।”