• পানীয় জলে মিশবেই ন্যানো প্লাস্টিক, রোখা প্রায় অসম্ভব
    বর্তমান | ১২ জানুয়ারি ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: এক বোতল জলে ২ লক্ষ ৪০ হাজার ন্যানো বা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র প্লাস্টিকের গুঁড়ো! সেগুলি লম্বায় এক মাইক্রোমিটারেরও কম এবং একটি চুলের ১৭ ভাগের একভাগ চওড়া। স্বাভাবিকভাবেই সেটি খালি চোখে ধরা পড়ে না। আর পানীয় জলের সঙ্গে নিয়মিত সেই ন্যানো প্লাস্টিক ঢুকছে মানব শরীরে। সম্প্রতি, আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষায় এই ভয়ঙ্কর তথ্য ধরা পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলে মিশে থাকা এই প্লাস্টিকের গুঁড়োকে আলাদা করার মতো কোনও প্রযুক্তি সেভাবে এদেশে নেই। কোনও ধরনের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ট্রিটমেন্ট প্লান্টও ন্যানো প্লাস্টিকমুক্ত জল দিতে অক্ষম। স্বাভাবিকভাবেই আমজনতা এই খবরে আতঙ্কিত। তাহলে বাঁচার পথ কী? উত্তর খুঁজছে জনতা। আইটি কর্মী রোশনি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, জল খেলে প্লাস্টিক শরীরে ঢুকছে, এমনটা প্রথম শুনলাম। এটা তো সত্যি চিন্তার! একইভাবে আতঙ্কিত একটি বেসরকারি জনসংযোগ সংস্থার কর্মী অর্পিতা দেবনাথও। তিনি বলেন, বোতলবন্দি জলে সুক্ষ্ম প্লাস্টিক! তাহলে আর কী খাব! জলে আর্সেনিক থাকে, সেটা খালি চোখে ধরা পড়ে না। সত্যি ভয়ের বিষয়। সেটা আটকাতে নিশ্চয়ই কোনও প্রযুক্তি থাকবে।

    প্লাস্টিক দূষণের ভয়ঙ্কর রূপ আগেও সামনে এসেছে। সমুদ্রের জলে প্লাস্টিক, পলিথিনের জঞ্জাল সামুদ্রিক জীব-বৈচিত্র্যকে ধ্বংস করছে। মারা যাচ্ছে সামুদ্রিক মাছ থেকে শুরু করে নানা জলজ প্রাণী। তাই নির্দিষ্ট মাইক্রনের নীচে পলিথিন ব্যাগ বন্ধ করার নির্দেশও দিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু, এই মাইক্রো বা ন্যানো প্লাস্টিক রুখতে কী পদক্ষেপ, তার কোনও নির্দিষ্ট দিশা নেই। বিশেষজ্ঞদের একাংশ তাই ‘বায়ো-প্লাস্টিক’-এর ব্যবহারে জোর দেওয়া ছাড়া গতি দেখছেন না।
  • Link to this news (বর্তমান)