• Jalpaiguri: 'আতপ চাল খাওয়া যায় না' বাধ্য হয়ে রেশনের চাল বিক্রি উপভোক্তাদের
    ২৪ ঘন্টা | ১২ জানুয়ারি ২০২৪
  • প্রদ্যুৎ দাস: কম দামে রেশনের আতপ চাল কিনে টোটোতে বোঝাই করছিলেন এক অসাধু ব্যাবসায়ী। ক্যামেরা দেখে মাঙ্কি টুপি দিয়ে মুখ ঢেকে পালালেন তিনি।সামনেই পৌষ পার্বণ। এই সময় বাংলা জুড়ে বাড়ি বাড়িতে পিঠে পুলির আয়োজন হয়। পিঠে তৈরীর মূল উপকরণ আতপ চালের গুড়ো। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কম দামে রেশনের আতপ চাল কিনে তা দিয়ে চালের গুড়ো তৈরী করে চড়া দামে বিক্রি করে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যাবসায়ী। তারাই এখন গ্রামে গঞ্জে গিয়ে কম দামে রেশনের আতপ চাল কিনে নিচ্ছে।

    এই দৃশ্য দেখা গেলো জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাতকাটা কলোনী এলাকায়। দেখা গেল এক ব্যাক্তি টোটো নিয়ে গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে কম দামে রেশনের আতপ চাল কিনছেন। তার নাম কী অথবা কোথা থেকে এই রেশনের চাল কিনলেন তা জিজ্ঞেস করতেই পালিয়ে গেলেন তিনি।স্থানীয় বাসিন্দা অপর্না মিত্র জানালেন, ‘রেশনে আতপ চাল দেয়। আতপ চাল খাওয়া যায় না। তাই বিক্রি করে ওই টাকা দিয়ে সেদ্ধ চাল কিনি। আমরা চাই রেশনে সেদ্ধ চাল দিক’।সন্তোষ জোশি নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা জানালেন, ‘আতপ চাল খাওয়া মুশকিল। তাই কী আর করা যাবে। আতপ চাল বিক্রি করে দেওয়া হয়। এরা এই চাল নিয়ে গিয়ে চালের গুড়ো করে। কেউ আবার হাঁড়িয়া বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে দেয়। রেশনে সিদ্ধ চাল দিলে ভালো হয়’।মহকুমা খাদ্য নিয়ামক শুভাশিস বায়েন জানিয়েছেন, ‘উপভোক্তার ফিঙ্গার প্রিন্ট মেলার পর তাকে রেশন দেওয়া হয়। এবার সেই রেশন নিয়ে গিয়ে যদি তিনি বাজারে বিক্রি করে দেন তবে তা অত্যন্ত বেদনাদায়ক’।তিনি আরও বলেন, ‘ওই এলাকায় চলতি মাসের রেশনের মাধ্যমে সিদ্ধ চাল দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি আমি বিডিওকে জানিয়েছি। এই জাতীয় অভ্যাস বন্ধ করতে আমরা ওই এলাকায় সচেতনতা প্রচার চালাবো’। 
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)