• হস্টেলে দশম শ্রেণির ছাত্রের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক? সন্তান প্রসব নবমের ছাত্রীর
    এই সময় | ১২ জানুয়ারি ২০২৪
  • সন্তান প্রসব নবম শ্রেণির ছাত্রীর। হস্টেলের মধ্যে পেটের যন্ত্রণা শুরু হতে তাঁকে কর্নাটকের একটি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় নাবালিকা। এই ঘটনায় রাতারাতি সাসপেন্ড করা হয়েছে কর্নাটকের চিক্কাবল্লভপুরের স্কুল হস্টেলের ওয়ার্ডেনকে। ইতিমধ্যেই পকসো আইনে একটি মামলাও রুজু করা হয়েছে।তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের হাতে। জানা গিয়েছে, কর্নাটকের ওই স্কুলের সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার বিভাগের হস্টেলে বছর খানেক আগে এনরোল করিয়েছিল এই পড়ুয়া। সে সময় অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি হয় মেয়েটি। তবে প্রথম থেকেই ক্লাসে অনিয়মিত ছিল সে। হস্টেলে থাকা শুরু করলেও মাঝে মধ্যে আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার নাম করে গায়েব হয়ে যেত।গত বছরের অগাস্ট মাসে একটি মেডিক্যাল চেক আপ হয় তাঁর। তা সত্ত্বেও মেয়েটির অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি।পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, কর্নাটকের চিক্কাবল্লভপুরের ওই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রের সঙ্গে একটি সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল মেয়েটির। তবে সম্প্রতি ছেলেটি স্কুল থেকে টিসি নিয়ে বেঙ্গালুরুর একটি স্কুলে ভর্তি হয়েছে। এই স্কুলের সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার বিভাগের জয়েন্ট ডিরেক্টর কৃষ্ণপ্পা এস বলেন, 'এই মেয়েটি বাগেপল্লি শহরের কাশাপুরা এলাকার বাসিন্দা। ১৪ বছর বয়স ওর। কিন্তু, বেশ কয়েকদিন ধরে সে হস্টেলে থাকছিল না। পেটের যন্ত্রণা হচ্ছিল বলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তখনই জানা যায় ও অন্তঃসত্ত্বা। আমরা গোটা বিষয়টা খতিয়ে দেখছি। সরকারকেও বিষদ তথ্য জানাব। পুলিশও গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে। দশম শ্রেণির পড়ুয়ার খোঁজ চলছে।'কী ভাবে নবম শ্রেণির ওই পড়ুয়ার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি কারও নজরে এল না, ওয়ার্ডেনেরও বা গাফিলতি হল কী করে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। মেয়েটির পরিবারের সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলশ।হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, অত্যধিক ওজন কমে গিয়েছিল ছাত্রীটির। তবে প্রসবের পর মা এবং সন্তান দু'জনেই বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। ইতিমধ্যেই মেয়েটির কাউন্সিং শুরু হয়েছে। তার মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। তবে দশম শ্রেণির ওই পড়ুয়ার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক ছিল কি না, হস্টেলে ছেলেটি তার সঙ্গে দেখা করতে আসত কি না, তা নিয়ে মুখ খোলেনি মেয়েটি। যে ছেলেটির উপর মূলত সন্দেহ করা হচ্ছে, তার বদলে অন্য একজনের নাম শোনা গিয়েছে মেয়েটির মুখে। ফলে বয়ানে অসঙ্গতি পাচ্ছেন তদন্তকারীরা।রাজ্য, দেশ, দুনিয়া, বিনোদন, খেলার সব খবর সবার আগে পেতে হোয়াটসঅ্যাপে ফলো করুন এই সময়কে।
  • Link to this news (এই সময়)