• Government School : জোটেনি গরম জামা, হাড়কাঁপানো ঠান্ডার বলি ১০ বছরের স্কুল পড়ুয়া
    এই সময় | ১২ জানুয়ারি ২০২৪
  • অর্থনৈতিক সাবলম্বীর পথে দেশ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দেওয়া হচ্ছে আশ্বাস। মহাকাশ গবেষণা থেকে শুরু করে সমস্ত ক্ষেত্রে অগ্রগতির দাবি করা হচ্ছে। অথচ, ঠাণ্ডায় প্রাণ দিতে হচ্ছে শিশুকে। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের পূর্ব চম্পারণ জেলায়। তীব্র ঠান্ডার মধ্যে গায়ে ছিল না গরম জামা। আদর্শ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রার্থনা সঙ্গীত চলার সময় জ্ঞান হারিয়ে মৃত্যু হল ১০ বছরের শিশুটির।জানা গিয়েছে মৃত শিশুটির নাম মণীশ কুমার। আদর্শ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া সে। এই মুহুর্তে উত্তর ভারতের অন্যান্য রাজ্যগুলির মতো বিহার জুড়ে শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। বুধবার স্কুলে প্রার্থনা সঙ্গীত চলার সময় হঠাৎ শীতে কাঁপতে কাঁপতে পড়ে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যায় সে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে স্থানীয় মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেছেন। ঠান্ডার জেরেই মৃত্যু বলে অনুমান।মণীশের মৃত্যুর পিছনে হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ করেছেন পরিবারের লোকজন। মৃত পড়ুয়ার দাদা চন্দন জানিয়েছেন, ঘটনার দিন নির্দিষ্ট সময়ে স্কুল গিয়েছিল তাঁর ভাই। কিছুক্ষণ পরে স্কুল থেকে খবর আসে যে অসুস্থ মণীশকে হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালে যাওয়ার পর, ভাইকে খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছেন তিনি। পরে শোনা গিয়েছিল, সে বেঁচে নেই। এরপরেই পরিবারের লোকজন হাসপাতালে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ।এদিকে, হাসপাতালে হামলার ঘটনা শুনে ছুটে যায় স্থানীয় চকিয়া থানার পুলিশের একটি দল। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঠান্ডা, না অন্য কোন কারণে পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর জানা যাবে বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্তা ধনঞ্জয় কুমার।স্কুলের মধ্যে পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় বিহার জুড়ে পড়ে গেছে শোরগোল। জানা গিয়েছে, মণীশের বাবা স্থানীয় একটি চিনিকলের শ্রমিক। পরিবারের সদস্য বেশি থাকায়, নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মত অবস্থা। দারিদ্রের কারণে পড়ুয়ার গরম জামাকাপড় ছিল না বলে কোনও কোনও মহল থেকে উঠেছে অভিযোগ।যদিও এই অভিযোগ মানতে রাজি নন জেলা শিক্ষা আধিকারিক সঞ্জয় কুমার। তিনি জনিয়েছেন, স্কুলে যাওয়ার আগে পরিবারের সদস্যরা মণীশকে মারধর করেছিলেন। ক্ষোভে গরম জামা না পরে এবং খাওয়া দাওয়া না করে স্কুলে গিয়েছিল সে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই মৃত্যু আসল কারণ জানা যাবে বলে মনে করছেন ওই শিক্ষা আধিকারিক।রাজ্য, দেশ, দুনিয়া, বিনোদন, খেলার সব খবর সবার আগে পেতে হোয়াটসঅ্যাপে ফলো করুন এই সময়কে।
  • Link to this news (এই সময়)