• শারীরিক সম্পর্কে অনাগ্রহ স্ত্রীর, স্বামীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে না চাওয়া ‘নিষ্ঠুরতা’! বলল আদালত
    আনন্দবাজার | ১২ জানুয়ারি ২০২৪
  • স্বামীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে
    স্থাপন করতে অস্বীকার করা এক রকমের মানসিক নিষ্ঠুরতা। শুধুমাত্র এই কারণ দেখিয়ে
    স্ত্রীর কাছে বিবাহবিচ্ছেদ চাইতে পারেন স্বামী। সম্প্রতি একটি মামলার প্রেক্ষিতে
    এমনই মন্তব্য করল মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, কোনও বিশেষ কারণ
    ছাড়া স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে অনীহা প্রকাশ করা মানসিক নিষ্ঠুরতার শামিল।

    স্ত্রী শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে
    উদাসীন। তাঁকে মানসিক ভাবে হয়রানি করা হচ্ছে— এই অভিযোগ নিয়ে পরিবার আদালতের
    দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। ২০১৪ সালে তিনি স্ত্রীর কাছ থেকে ডিভোর্স চেয়ে
    মামলা করেন। কিন্তু পরিবার আদালত তাঁর ওই আর্জি খারিজ করে দেয়। সেই রায়কে
    চ্যালেঞ্জ করে তার পর হাই কোর্টে যান মামলাকারী।

    আদালত জানতে পারে উল্লেখিত দম্পতির
    বিয়ে হয় ২০০৬ সালে। আবেদনকারীর হলফনামা অনুযায়ী, সে বছরের ১২ জুলাই থেকে ২৮ জুলাই,
    স্বামীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে আপত্তি জানান স্ত্রী। তার পর বিদেশে চলে গিয়েছিলে
    স্বামী। এর পরই হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘‘আমরা নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্তে একমত নই।
    তারা বলেছিল, কোনও বৈবাহিক সম্পর্কে স্ত্রী শারীরিক ভাবে ঘনিষ্ঠ হতে না চাইলে তা
    মানসিক নিষ্ঠুরতা নয়। এই কারণে বিবাহবিচ্ছেদ চাওয়া যায় না।’’

    হাই কোর্ট তার নির্দেশে বলে, ‘‘আবেদনকারী
    (স্বামী) বিবাহের সব রকম আনুষ্ঠানিকতা মেনে চলেছেন। বৈবাহিক সম্পর্কের ব্যাপারে
    আশাবাদী ছিলেন। কিন্তু স্ত্রী তাঁর সঙ্গে একমত হননি। আবেদনকারী যে কারণ বলেছেন, তা
    অবশ্যই মানসিক নিষ্ঠুরতার সমান।’’ হাই কোর্ট আরও বলেছে, বৈবাহিক সম্পর্কে কোনটা
    মানসিক নিষ্ঠুরতা এবং কোনটা নয়, তা নির্ধারণের জন্য কোনও ‘স্ট্রেট জ্যাকেট
    ফর্মুলা’ নেই। এর নির্দিষ্ট কোনও মাপকাঠিও নেই যে যার দ্বারা নির্ধারিত হবে কোনটা মানসিক
    নিষ্ঠুরতা এবং কোনটা নয়। তাই এই সংক্রান্ত প্রতিটি মামলার বিচারের জন্য প্রয়োজন
    তথ্য। একমাত্র তথ্যের ভিত্তিতেই এই রকম মামলার মূল্যায়ন সম্ভব। এর পরই
    বিবাহবিচ্ছেদে অনুমতি দেয় হাই কোর্ট।

  • Link to this news (আনন্দবাজার)