• পিকের পরে এ বার সুনীল কানুগোলুকে কংগ্রেস ‘হারাতে’ চলেছে? জল্পনা লোকসভার দায়িত্ব ছাড়ার
    আনন্দবাজার | ১২ জানুয়ারি ২০২৪
  • ভোটকুশলী পিকে ওরফে প্রশান্ত কিশোরকে প্রস্তাব দেওয়া হলেও তিনি শেষ পর্যন্ত কংগ্রেসে যোগ দেননি। তাঁর পুরনো ‘সতীর্থ’ এসকে ওরফে সুনীল কানুগোলু এ বার লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের দায়িত্ব ছাড়তে চলেছেন বলে দলের অন্দরে জল্পনা। কংগ্রেসের একটি সূত্র উদ্ধৃত করে এনডিটিভির দাবি, লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল স্থির করার দায়িত্বপ্রাপ্ত ‘টাস্ক ফোর্স ২০২৪’- থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সুনীল!

    প্রায় দু’বছর আগে তৎকালীন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী সুনীলকে নিয়ে এসে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল তৈরির দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু মল্লিকার্জুন খড়্গের জমানায় সেই দায়িত্ব ছাড়তে চলেছেন তিনি। দলের ওই সূত্র জানাচ্ছে, সুনীল মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানার আগামী বিধানসভা নির্বাচনের দায়িত্ব নিতে চলেছেন। চলতি বছরের শেষে ওই দুই রাজ্যে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা।

    ২০২২ সালের মে মাসে সনিয়া ২০২৪-এর লোকসভার প্রস্তুতি শুরু করার লক্ষ্যে কংগ্রেসের ‘টাস্ক ফোর্স ২০২৪’ গঠন করেছিলেন। আট জনের এই কমিটিতে পি চিদম্বরম, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, জয়রাম রমেশ, রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালার মতো নামের সঙ্গে শেষ নামটি ছিল সুনীলের। এর পরে গত বছর কর্নাটক এবং তেলঙ্গানার বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের জয়ে তাঁর ‘বড় ভূমিকা’ ছিল বলে দলীয় সূত্রের খবর। কিন্তু রাজস্থানের অশোক গহলৌত, মধ্যপ্রদেশের কমল নাথ, ছত্তীসগঢ়ের ভূপেশ বঘেল সুনীলের উপদেশ মেনে কাজ করেননি বলে অভিযোগ। কংগ্রেসের প্রবীণ ওই নিজেদের পরিকল্পনা মেনে প্রচার করেছিলেন। তিন রাজ্যের বিধানসভা ভোটেই ধরাশায়ী হয় কংগ্রেস। এর পরেই দলের প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে সুনীলের ‘দূরত্ব’ তৈরি হয়েছিল বলে জল্পনা।

    ৪১ বছরের সুনীল তাঁর একদা ‘বস্‌’ পিকে-র মতোই ২০১৪-র লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদীর প্রচারে কাজ করেছিলেন। বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করার পরে সুনীলই ছিলেন বিজেপির ‘অ্যাসোসিয়েশন অব ব্রিলিয়ান্ট মাইন্ডস’-এর প্রধান। ২০১৭-য় উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে পিকে যখন কংগ্রেসের দায়িত্বে, তখন সুনীল বিজেপির ভোটের রণকৌশল তৈরির দায়িত্বে ছিলেন। জিতিয়েছিলেন পদ্মশিবিরকে। ২০২১-এ তামিলনাড়ুতে ডিএমকের জয়ের তাঁর বড় ভূমিকা ছিল। চরিত্রগত ভাবেও সুনীল একেবারেই পিকে-র বিপরীত। পুরোপুরি প্রচারবিমুখ। লোকসভা ভোটের প্রচারকৌশল তৈরির ক্ষেত্রে তাঁর অনুপস্থিতির নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে কংগ্রেসের একাংশের আশঙ্কা।

  • Link to this news (আনন্দবাজার)