• পুরসভায় অন্তত ১০ হাজার পদে দুর্নীতি হয়েছে, EDর তল্লাশির মধ্যেই বিস্ফোরক শুভেন্দু
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১২ জানুয়ারি ২০২৪
  • রাজ্যের ৭০টি পুরসভায় অন্তত ১০ হাজার পদে নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। শুক্রবার স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাওড়ার বাগনানে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় হাঁটতে হাঁটতে এমনই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি দাবি করেন, পাঁচু গিয়ে বলে এসেছে, আমি খাইনি, সুজিত খেয়েছে।

    এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘ইডি যে কাজ করছে সংবিধান স্বীকৃত তো বটেই। এরা পৌরসভার চাকরি চুরি করেছে। আত্মীয়দের চাকরি দিয়েছে। মেধাযুক্ত বেকার যুবক যুবতী তাদের বঞ্চিত করেছে। এর থেকে বড় অপরাধ কিছু হতে পারে না।

    স্বামীজি এসেছিলেন যুবকদের মধ্যে দেশপ্রেম ও আধ্যাত্মবাদ জাগ্রত করতে। সেই যুবক – যুবতীদের সঙ্গে যে প্রতারণা করেছে এই সরকার’।

    এর পরই বিরোধী দলনেতা দাবি করেন, ‘শিক্ষা দুর্নীতির পরে পুর নিয়োগ দুর্নীতি হচ্ছে সব থেকে বড় দুর্নীতি। ৭০টা পুরসভাতে অন্তত ১০ হাজারের বেশি চাকরি বেচে দেওয়া হয়েছে। একদম বরানগর থেকে শুরু করে মুর্শিদাবাদ পর্যন্ত এমন কোনও পুরসভা নেই যেখানে চাকরি বেচা হয়নি। বিশেষ করে হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও মুর্শিদাবাদে সব থেকে বেশি চাকরি বিক্রি হয়েছে। ৭০টা বর্তমান বা প্রাক্তন পুরপ্রধান যুক্ত। তাদের এলাকার বিধায়ক বা মন্ত্রীরা যুক্ত’।

    শুভেন্দুবাবুর দাবি, ‘সুজিত বসু শুধু দক্ষিণ দমদমে চাকরি বেচেনি, তিনি কামারহাটি পুরসভায় ২ শ্যালকের ২ স্ত্রীকে সব নিয়ম ভেঙে খাতা বদলে স্থায়ী চাকরি দিয়েছে। সিবিআই তদন্ত হচ্ছে হাইকোর্টের নির্দেশে। এই তদন্ত আটকাতে চোর মমতা সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল। সেখান থেকে থাপ্পড় খেয়ে ফিরে এসেছে। যা হচ্ছে কোর্টের নজরদারিতে। ইডি ঢুকেছে সিবিআইয়ের প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে বলে। পাঁচু গিয়ে বলে এসেছে, আমি কিছু খায়নি, সুজিত খেয়েছে। এবার সুজিতকে বলতে হবে, আমি কিছু খাইনি, চোর মমতা সব খেয়েছে’।

    পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে শুক্রবার সকালে রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর বাড়িতে পৌঁছন ইডির গোয়েন্দারা। সঙ্গে ছিল বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী। একই সময় ইডির আধিকারিকরা পৌঁছন তৃণমূলি বিধায়ক তাপস রায়ের বউবাজারের বাসভবনে। তল্লাশি শুরু হয় উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবোধ চট্টোপাধ্যায়ের ২টি বাড়িতেও। এদিনের তল্লাশি ঘিরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রস্তুতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিন বাহিনীর জওয়ানদের পরনে ছিল বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট। হাতে বন্দুক ছাড়াও ছিল লাঠি ও ঢাল। সঙ্গে ছিল কাঁদানে গ্যাসের সেল ও সাউন্ড গ্রেনেড।

     
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)