• স্কুল পড়ুয়াদের জন্য বর্ষাতি কেনার ক্ষেত্রে দুর্নীতি, তদন্তের নির্দেশ মেয়রের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১২ জানুয়ারি ২০২৪
  • স্কুল পড়ুয়াদের জন্য বর্ষাতি কেনার ক্ষেত্রে কলকাতা পুরসভায় লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। সেই ঘটনায় কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম পুর কমিশনারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। জানা গিয়েছে গত সোমবার এই ঘটনায় পুর কমিশনারকে তিনি এই নির্দেশ দেওয়ার পরেই শিক্ষা বিভাগের অধিরকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন পুরসভার কমিশনার। সেক্ষেত্রে বর্ষাতি কেনার ক্ষেত্রে কী কী অনিয়ম হয়েছে? তা খতিয়ে দেখে অপরাধীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে কলকাতা পুরসভার সূত্রে জানা গিয়েছে।

    স্কুলের বর্ষাতি কেনার সময় যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মেয়েরর কথায়, যে বা যারা এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাদের কোনওভাবে ছাড়া হবে না। অন্যদিকে, শিক্ষা বিভাগের শৌচাগার দুর্নীতির জন্য ইতিমধ্যেই চারজন আধিকারিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। পুরসভা সূত্রের খবর, গত বছর শৌচাগারে দুর্নীতি এবং বর্ষাতি কেনার ক্ষেত্রে দুর্নীতি সামনে এসেছিল। তবে বর্ষাতি দুর্নীতিতে গভীরতা অনেক বেশি বলেই মনে করা হচ্ছে।

    পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে এই সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ ফাইলের নথি কমিশনারের কাছে জমা পড়েছে। এ বিষয়ে মেয়র পারিষদ (শিক্ষা) সন্দীপন সাহা জানিয়েছেন, মেয়রকে অন্ধকারে রেখে স্কুল পড়ুয়াদের জন্য মোটা টাকার বর্ষাতি কেনা হয়েছিল। এই ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে । জানা যায়, বর্ষাতি কেনার জন্য শিক্ষা দফতরের তরফে দরপত্র প্রক্রিয়ায় ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়ে অর্থ দফতরে পাঠানো হয়েছিল। তবে মেয়র সেই ফাইলের উপরে নো বলেই লিখেছিলেন। সব মিলিয়ে ৭৩ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকার মূল্যের ২২,০৪০টি বর্ষাতি কেনা হয়। যা সম্পূর্ণ নিয়মবিরুদ্ধ বলে আগেই পুরসভার অভ্যন্তরীণ অডিটে ধরা পড়ে। একটি বিশেষ সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্যই এভাবে দরপত্র ডাকা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। এখন প্রশ্ন উঠেছে, পুরসভা মেয়র ফিরহাদ হাইকমের নিয়ন্ত্রণে থাকা সত্ত্বেও কেন তিনি বিষয়টি জানতে পারলেন না। সে ক্ষেত্রে কারা জড়িয়ে তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)