• জোট জটিলতা কাটাতে এগিয়ে আসতে হবে সোনিয়াকে, বার্তা দিল তৃণমূল নেতৃত্ব
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১২ জানুয়ারি ২০২৪
  • ‌কংগ্রেস–তৃণমূল দুই দলই জোট চায়। কিন্তু বিধানসভা এবং লোকসভায় আসন জয়ের অঙ্কে জোটে জটিলতা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়ে কথাবার্তা শুরু করেছে তৃণমূল। সেই কথাবার্তায় তৃণমূল বুঝিয়ে দিয়েছে, বহরমপুর এবং মালদা দক্ষিণ ছাড়া আর একটি আসন ছাড়া যেতে পারে। সব মিলিয়ে তিনটে আসন। সেক্ষেত্রে আবার তৃণমূল নেতৃত্বের শর্ত আছে। সেটি হল—অসম, মেঘালয় এবং গোয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসকে আসন ছাড়তে হবে। কংগ্রেসকে সেটা স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই প্যাঁচপয়জারে এখন জোট নিয়ে জট রয়ে গিয়েছে। আর আলাদা করে কংগ্রেসের জোট কমিটির সঙ্গে বৈঠক করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়াদিল্লিতে কোনও দূতকে পাঠাবেন না।

    তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, কংগ্রেসের জেতা দু’টি আসন বহরমপুর এবং মালদা দক্ষিণে প্রার্থী দেবে না তৃণমূল। কিন্তু কংগ্রেস তাতে সন্তুষ্ট নয়। তাই কংগ্রেস নেতৃত্ব জানিয়েছে, দুটি আসন অত্যন্ত কম। এটা শুনে তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছেন, যদি সোনিয়া গান্ধী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি অনুরোধ করেন সেক্ষেত্রে আরও একটি আসন কংগ্রেসকে দেওয়া যেতে পারে। সেটি অবশ্যই বিজেপির জেতা আসন। তার পরিবর্তে মেঘালয়ে যে আসনে তৃণমূলের ভোট শতাংশ কংগ্রেসের থেকে বেশি এবং অসমে দু’টি আসন কংগ্রেস ছাড়ুক তৃণমূলকে। তবে এটা নিয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত ফয়সালা হয়নি।

    কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব অবশ্য মনে করছেন, বাংলা, নয়াদিল্লি এবং পাঞ্জাব বাদ দিলে বাকি সব রাজ্যেই ‘ইন্ডিয়া’ জোটের মধ্যে থাকা দলগুলির সঙ্গে সমঝোতা হবে। আর এই তিনটি রাজ্যে আপ এবং তৃণমূলের সঙ্গে দরকষাকষি চলছে। তবে কংগ্রেস নেতারা মনে করছেন, পশ্চিমবঙ্গে অবশেষে তৃণমূলের সঙ্গে আসন সমঝোতা হবে। আর সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে। কংগ্রেস ইতিমধ্যেই বাংলার ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রে একজন করে সমন্বয়কারী নিয়োগ করেছে। আজ, শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের সমন্বয়কারীদের নয়াদিল্লিতে প্রশিক্ষণের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু একটা প্রচেষ্টা যখন চলছে তখন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেই চলেছেন। তাতে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে তৃণমূলের সেটা কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বকে নালিশ করতে পারেন।

    আরও পড়ুন:‌ ‘‌জানিস আমি কে?‌’‌, অটো চালকের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে প্রশ্ন দুই যুবকের, গড়িয়ায় গ্রেফতার

    এই নালিশ করলে বিপাকে পড়তে পারেন অধীরবাবু। কারণ বিষয়টি প্রভাব ফেলতে পারে জোটে। এই বিষয়ে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূলের এক প্রথমসারির নেতার কথায়, ‘‌আমরা স্পষ্টভাষায় জানিয়েছি, বিজেপিকে হারাতে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়তে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের কোনও সাংসদ, বিধায়ক বা মন্ত্রী ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চ অথবা কংগ্রেস বিরোধী কোনও মন্তব্য করেননি। এটাও কংগ্রেসকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাংলার রাজনৈতিক বাস্তবতা তাদের বুঝতে হবে। কংগ্রেস বাংলায় অত্যন্ত দুর্বল। ৩৯টি আসনে তাদের প্রাপ্ত ভোটের শতকরা হার চার শতাংশের নীচে। একটিতে ১০ শতাংশের তলায়। দু’টিতে তারা জিতেছে।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)