• Delhi High Court : প্রমাণ সত্তেও যৌন হেনস্থা মামলায় অভিযুক্তকে ক্ষমা দিল্লি হাইকোর্টের, রায় ঘিরে বিতর্ক
    এই সময় | ১৩ জানুয়ারি ২০২৪
  • এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে নাবালিকাকে ধর্ষণের উপযুক্ত প্রমাণ দিল্লি হাইকোর্টে দাখিল করেছিল পুলিশ। কিন্তু অভিযুক্তকে ক্ষমা করে দিয়েছেন বিচারপতিরা। উচ্চ আদালতের রায় নিয়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। সেই সঙ্গে বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে উস্কে দিয়েছে প্রশ্ন।২০১৫ সালে দিল্লির বাসিন্দা আরিফ খান নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছিলেন নাবালিকার বাবা। মেয়েকে অপহরণ করে বিয়ের পর মদ্যপ অবস্থায় যৌন হয়রানি করা হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। এরপর অভিযুক্তের শাস্তি দাবি করে দিল্লি পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই মামলায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে উচ্চ আদালত।প্রায় ৯ বছর আগের সেই ঘটনায় নাবালিকার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছিল দিল্লি পুলিশ। মহিলা জানিয়েছেন, নিজের ইচ্ছায় এবং বাবা-মার সম্মতিতে আরিফ খানকে বিয়ে করেছিলেন। ঘটনার সময় তিনি নাবালিকা ছিলেন না বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন।যদিও রাজধানীর পুলিশ মহিলার দাবি খারিজ করে দিয়েছিল। স্কুলের রেকর্ড অনুসারে সেই সময় তাঁর বয়স ছিল ১৮ বছরের কম। সেই সঙ্গে আরিফকে যখন গ্রেফতার করা হয়, তখন ওই মহিলা পাঁচ মাসের অন্তঃস্বতা ছিলেন। বর্তমানে তাঁর দুই মেয়ে রয়েছে। একজন বয়স আট এবং অন্যজনের আড়াই বছর।যৌন হয়রানির অভিযোগ তিন বছর জেল খাটার পর ২০১৮ সালে আফিকে মুক্তি দিয়েছিল দিল্লির একটি নিম্ন আদালত। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিল মহিলার বাবা। সেই মামলার রায় দিতে গিয়ে গত ৯ জানুয়ারি বিচারপতি স্বর্ণকান্ত শর্মার বেঞ্চ জানিয়েছে, উভয় পরিবারের ভবিষ্যৎ, দম্পতির ৯ বছরের সম্পর্ক এবং দুই নাবালিকা ভবিষ্যৎ হুমকি মুখে।আইনের কঠোরতা বা রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ দ্বারা প্রেম নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। শান্তিপূর্ণ বিবাহিক জীবনযাপনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়। সমাজ ও আইনের কঠোর আদেশের উপর একটি ভারসাম্য থাকা উচিত বলে পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে উচ্চ আদালত। সেই সঙ্গে এফআইআর বাতিল না করা হলে, দম্পতির দুই কন্যা ভবিষ্যত ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং ন্যায়বিচার হবে না বলে জানায় বেঞ্চ।এরপর আরিফের বিরুদ্ধে দায়ের করা এফআইআরটি তুলে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে স্বর্ণকান্ত শর্মার বেঞ্চ। যদিও হাইকোর্টের রায় নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। এতে অপরাধীরা আরও বেশি উৎসাহিত হবে বলে মনে করেছেন আইন বিশেজ্ঞদের একাংশ।রাজ্য, দেশ, দুনিয়া, বিনোদন, খেলার সব খবর সবার আগে পেতে হোয়াটসঅ্যাপে ফলো করুন এই সময়কে।
  • Link to this news (এই সময়)