• Teacher Recruitment Scam : চাকরি বাতিল সরকারি স্কুলের ভুয়ো শিক্ষকদের, ফেরত দিতে হবে বেতনের টাকাও
    এই সময় | ১৩ জানুয়ারি ২০২৪
  • নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় হয়েছে বাংলা। এই দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত মন্ত্রী থেকে সরকারি আধিকারিক, অনেকেই জেলবন্দি। স্বচ্ছ্ব নিয়োগের দাবিতে মাসের পর মাস পথে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীরা। সেই ছায়া এবার উত্তর প্রদেশেও।যোগীরাজ্যেও ভুয়ো নথি দেখিয়ে সরকারি স্কুলের শিক্ষক পদে বসার অভিযোগ। জানা গিয়েছে, এই রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে প্রায় ৪০০ এমন শিক্ষকদের হদিশ মিলেছে যারা ভুয়ো অথবা বিকৃত নথি দেখিয়ে শিক্ষকের চাকরি পেয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে এবার কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। খবর পাওয়া যাচ্ছে, এই ভুয়ো শিক্ষকদের প্রথমে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে। শুধু তাই নয়, এরপর তাদের বেতনের টাকাও ফেরত নেওয়া হবে।জানা গিয়েছে, উত্তর প্রদেশের প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের পরিষদীয় স্কুলগুলিতে ভুয়ো নথি দেখিয়ে ৩৮২ জন শিক্ষক দিব্যি চাকরি করছেন। সবচেয়ে বেশি ভুয়ো শিক্ষকের হদিশ মিলেছে দেবরিয়া, মথুরা এবং সিদ্ধার্থনগরে। ২০০৬ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে এদের প্রত্যেকের নিয়োগ হয়েছিল। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বিকৃত নথি এবং জালি মার্কশিট দেখিয়ে বহাল তবিয়তে চাকরি করে চলেছেন তারাদেবরিয়াতে একাধিক সরকারি স্কুল থেকে ৮৫ জন শিক্ষককে আগেও ভুয়ো নথি দেখানোর অপরাধে বরখাস্ত করা হয়েছিল। ২০২০ সালে শিক্ষা বিভাগে ভর্তি নিয়ে বিবাদ শুরু হয়। প্রশাসনিক স্তরে দুর্নীতির অভিযোগ তোলে উত্তর প্রদেশের বিরোধীরা। এরপর এই দুর্নীতিতে STF তদন্ত শুরু করে। তদন্তে সামনে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।জানা যায়, তিন বছরে উত্তর প্রদেশে নকল নথি দেখিয়ে নিয়োগ হয়েছে প্রায় ২৫০০ শিক্ষক। তাদের রাতারাতি চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। সেই থেকেই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কড় যোগী প্রশাসন।গত বছরও নভেম্বর মাসে উত্তর প্রদেশের প্রতাপগড়ে ২৬ সাল ধরে চাকরিরত এক শিক্ষককে চাকরি খোয়াতে হয়। তিনিও ভুয়ো নথি দেখিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ। কল্যাণগড় নগরায়ন গ্রামের বাসিন্দা এই নন্দ কিশোর অন্তরসই প্রাইমারি স্কুলের সহায়ক শিক্ষকপদে ছিলেন। নন্দ কিশোরের গ্রামের এক বাসিন্দা মুখ্যমন্ত্রী পোর্টাল থেকে তার নথি বের করে যাচাই করে দেখেন সেটি সম্পূর্ণ জালি। তদন্ত সত্যিটা উঠে আসে। জানা যায় তিনি হাইস্কুলে মাত্র ৪৮ নম্বর পেয়েছিলেন। তার মার্কশিট দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয় প্রশাসনের।এর আগে গত বছর জুলাই মাসে উত্তর প্রদেশের SIT বারাণসীর শিক্ষা বিভাগের ১০ অফিসারের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেন। জানুয়ারি মাসের অন্তর্বর্তী অডিটে তার বিরুদ্ধে নকল নথির প্রমাণ প্রকাশ্যে আসে।রাজ্য, দেশ, দুনিয়া, বিনোদন, খেলার সব খবর সবার আগে পেতে হোয়াটসঅ্যাপে ফলো করুন এই সময়কে।
  • Link to this news (এই সময়)