• আবার অসুস্থ হয়ে পড়লেন কামারহাটির বিধায়ক, অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে মদন
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৩ জানুয়ারি ২০২৪
  • আবার হাসপাতালে ভর্তি করতে হল কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রকে। আজ, শুক্রবার হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে যেতে হল তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মদন মিত্রকে। কয়েকদিন আগেই তিনি এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। তারপর বাড়িতেই বিশ্রামে ছিলেন। আবার শরীর তাঁর খারাপ হয়েছে বলে খবর। তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের শরীরে হিমোগ্লোবিন কমে গিয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। তবে এবার আর এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি। মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মদন মিত্রকে।

    এদিকে নিউমোনিয়া নিয়ে আগে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মদন মিত্র। সেখানেই তাঁর কাঁধের হাড় ভেঙে যায়। তখন অস্ত্রোপচার করতে হয়। তার কিছুদিন পর নানা পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান মদন। তখন ভবানীপুরের বাড়িতে ফিরে যান। কিন্তু বিশ্রাম বেশিদিন স্থায়ী হল না। আবার শরীর খারাপ হওয়ায় এখন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে তাঁকে। সূত্রের খবর, আচ্ছন্ন অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয় মদন মিত্রকে। চিকিৎসক সৌরীন পাঁজার তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।

    অন্যদিকে ডিসেম্বর মাসের শুরুতেই শ্বাসকষ্ট–সহ নানা সমস্যা নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল মদন মিত্রকে। হাসপাতালে থাকাকালীনই কাঁধের হাড় ভাঙে এবং গত ১৩ ডিসেম্বর কাঁধে অস্ত্রোপচার হয় মদন মিত্রের। অবশেষে ২২ দিন হাসপাতালে কাটিয়ে ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর ছুটি পান কামারহাটির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। তবে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ফিরেও সেভাবে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি দলের কালারফুল নেতাকে। নিজের বিধায়ক এলাকা কামারহাটিতেও সময় দিতে পারেননি মিত্র মদন। নতুন বছরের শুরুতেই আবার অসুস্থ য়ে পড়লেন তিনি। তাই এখন অনুগামীদের মন খারাপ।

    আরও পড়ুন:‌ চালক ছাড়াই মেট্রো চলবে কলকাতায়, ট্রায়াল রান সফল হতেই চূড়ান্ত হয়েছে রুট

    এছাড়া আজ, শুক্রবার সকাল থেকে তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে। এই আবহে কী করণীয় বোঝা যাচ্ছিল না। তাই কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর বিকেল ৫টা নাগাদ ইএম বাইপাস সংলগ্ন মুকুন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় মদন মিত্রকে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, হিমোগ্লোবিন কমে গিয়েছে মদনবাবুর শরীরে। আর অসংলগ্নতা রয়েছে কামারহাটির বিধায়কের। দ্রুত তাঁকে আপৎকালীন বিভাগে রেখেই চিকিৎসা করছেন চিকিৎসকরা। বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তারপর গোটা বিষয়টি সামনে আসবে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)