মাও জানান, মায়ানমার সীমান্তবর্তী চিনের উহান প্রদেশের কুনমিং-এ গত বুধ এবং বৃহস্পতিবার ওই দু’তরফের আলোচনা হয়েছে। তাতেই স্থির হয়, মায়ানমারের উত্তর শান প্রদেশে চলে আসা সংঘর্ষ শেষ হয়ে এ বার সমস্যা মেটাতে আলোচনা এবং দাবিদাওয়া আদায়ে দর কষাকষি হবে। সীমান্ত বাণিজ্য ফের চালু করার বিষয়েও তাঁরা একমত হয়েছে, জানিয়েছে বিদ্রোহী তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকামী নেত্রী আউং সান সু চি-র ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি’র নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতায় এসেছিল মায়ানমার সেনা। এ পর্যন্ত তাদের সব থেকে বেকায়দায় ফেলেছে জোটবদ্ধ তিনটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর এই বিদ্রোহ। অনেক এলাকা বিদ্রোহীদের দখলে। গত সপ্তাহেই তারা উত্তর দিকের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর দখল করে ফেলার ঘোষণা করেছিল।
গত সপ্তাহে বেজিং সীমান্ত এলাকায় চিনের উপরে এই সংঘর্ষের প্রভাব নিয়ে গভীর অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল। নিজেদের নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য তারা ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ করবে বলে বার্তা দিয়েছিল। আজ মাও বলেছেন, ‘‘চিন-সীমান্তের মানুষজনের এবং মায়ানমারে থাকা চিনা নাগরিকদের সুরক্ষার বিষয়ে কোনও আপস করা হবে না বলে দু’পক্ষই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।’’
এই সূত্র ধরেই ‘স্থিতিশীলতা’ ফেরানোর অছিলায় ভবিষ্যতে মায়ানমারে চিনা সেনা ঢুকে পড়তে পারে বলে কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা।