আজ খড়্গে থেকে রাহুল ফের যুক্তি দিয়েছেন, মন্দিরে যে কেউ যে কোনও সময় যেতে পারেন। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি-আরএসএস রামমন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানকে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে পরিণত করতে চাইছে, বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি থেকে নজর ঘোরাতে চাইছে বলেই তাঁরা সেই অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না।
জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে রাহুল গান্ধী বিবৃতিতে বলেছেন, “আজ বাস্তব সমস্যা থেকে আবেগপূর্ণ বিষয়ের দিকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা হচ্ছে। এটা দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা।” তাঁর বক্তব্য, জাতীয় যুব দিবসে স্বামী বিবেকানন্দের বিচারধারা ফের স্মরণ করা জরুরি। আজ দেশের তরুণদের ঠিক করতে হবে, স্বপ্নের ভারতের পরিচিতি কী হবে? জীবনযাত্রায় উন্নতি না কি শুধুই আবেগ? উত্তেজক স্লোগান তোলা না কি রোজগার করা? ভালবাসা না বিদ্বেষ? বিজেপি-আরএসএস সনিয়া-খড়্গের রামমন্দিরে না যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুললেও কংগ্রেস সভাপতি খড়্গের বক্তব্য, “আমি তো আগেই বলেছি, মন্দিরে যে কেউ, যখন খুশি, নিজের আস্থা অনুযায়ী যেতে পারেন। আমরা শুধু যে অনুষ্ঠানে আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, সেখানে না যাওয়ার কথা বলেছি।” কংগ্রেস নেতা শশী তারুর ১৯৯৯ সালে দিল্লির রামকৃষ্ণ মিশনে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে জাতীয় যুব দিবসের অনুষ্ঠানে সনিয়া গান্ধীর বক্তৃতা তুলে ধরেছেন। তাঁর বক্তব্য, হিন্দু উদারবাদের সঙ্গে কংগ্রেসের পরিচিতি গত ১০ বছরের ঘটনা পরম্পরার প্রতিক্রিয়া হিসেবে উঠে আসেনি। তা বরাবরেরই বিশ্বাস।