পূর্ব মেদিনীপুরের বিদ্যালয় পরিদর্শক থাকাকালীন চাপেশ্বর সর্দারের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ ওঠে। সিআইডির হাতে চাপেশ্বর গ্রেফতার হওয়ার পর এক দিকে যেমন তাঁর বিপুল সম্পত্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়, তেমনই তাঁর দুর্নীতির সঙ্গীদের রিচয় সামনে আসতে থাকে। জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, চাপেশ্বরের ডান হাত ছিলেন তাঁর অফিসের ওই করণিক। সিআইডি সূত্রে খবর, চাপেশ্বরকে গ্রেফতার করার আগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর অফিসের ওই প্রাক্তন কর্মচারীকে ডেকে পাঠানো হয়।ওই ব্যক্তির বয়ানের ভিত্তিতেই সিআইডি চাপেশ্বরকে গ্রেফতার করে।
চাপেশ্বরের ছায়াসঙ্গী পাঁশকুড়ার ওই ব্যক্তির বিপুল সম্পত্তি নিয়েও শুরু হয়েছে চর্চা। স্থানীয় সূত্রে খবর, মেচগ্রাম এলাকায় ওই ব্যক্তির একাধিক ফ্ল্যাট, উঁচু পাঁচিল তোলা একাধিক বাড়ি এবং দোকান রয়েছে। মেচগ্রাম থেকে পাঁশকুড়া বনমালী কলেজ যাওয়ার রাস্তার ধারের বিপুল পরিমাণ জমির মালিক তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই প্রাক্তন করণিক এলাকায় শিক্ষকতার চাকরি বিক্রি, শিক্ষকদের মনের মতো জায়গায় বদলি করে দেওয়ার কাজ করতেন মোটা টাকার বিনিময়ে। সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তিকে ফের ডাকতে পারেন তদন্তকারীরা। সিআইডির এক আধিকারিক বলেন, "ওই ব্যক্তির বয়ানে চাপেশ্বরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা সামনে আসে। তারপরই চাপেশ্বরকে গ্রেফতার করা হয়।’’