• Pakistan News: গাধা-কুকুর বেচতে রাজি ‘দেউলিয়া’ পাকিস্তান, কিনবে চিন!
    এই সময় | ০৭ অক্টোবর ২০২২
  • একদিকে ভয়াবহ বন্যা। অন্যদিকে পাহাড় প্রমাণ ঋণ। জোড়া ফলার আক্রমণে খাদের কিনারায় চলে গিয়েছে পাকিস্তানের অর্থনীতি। এই অবস্থায় গাধা ও কুকুরের মতো গৃহপালিত পশু বিক্রির সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে ইসলামাবাদ। ইতিমধ্যেই ক্রেতাও পেয়ে গিয়েছে শাহবাজ শরিফ সরকার। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের থেকে পশু কেনার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে চিন। পাক সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি, গত সোমবার এই নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা সেরে নিয়েছে সংসদীয় কমিটি। সেখানে ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রকের আধিকারিকরা। কমিটির অন্যতম সদস্য দীনেশ কুমার জানিয়েছেন, “গবাদি পশু বিক্রি করা গেলে অর্থনৈতিক সংকট কিছুটা দূর করা যাবে। চিন এই ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এই ইস্যুতে মুখ খুলেছেন পাক সেনেটর আব্দুল কাদিরও। তাঁর কথায়, “ইসলামাবাদের চিনা রাষ্ট্রদূত এর আগেও বহুবার পাকিস্তান থেকে মাংস আমদানির বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছেন।” সেই কথা তিনি সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছেন বলেও সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন ওই পাক সেনেটর।

    কেন গাধা-কুকুর বিক্রি করছে ইসলামাবাদ?

    পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আফগানিস্তানে গৃহপালিত পশুর দাম খুবই সস্তা। সেখান থেকে পশুগুলিকে আমদানি করে চিনে রফতানি করার পরিকল্পনা করছে ইসলামাবাদ। এছাড়া পাকিস্তানের গাধা ও কুকুর বিপুল পরিমানে রফতানি করা হতে পারে বলেও খবর সূত্রের। যদিও এভাবে পশু বিক্রির ক্ষেত্রে সমস্যার মুখে পড়তে হতে পারে শাহবাজ শরিফ সরকারকে। বর্তমানে লুম্পি ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় আফগানিস্তান থেকে পশু রফতানি বন্ধ রেখেছে ইসলামাবাদ। সূত্রের খবর, এই নিয়ে পাক সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা হয়েছে।

    কেন পাকিস্তানের পশু কিনতে চায় চিন?

    সম্প্রতি গাধা আমদানির ব্যাপারে প্রবল আগ্রহ দেখিয়েছে বেজিং। বিশেষজ্ঞদের দাবি, গাধার রক্ত দিয়েই চিনা ওষুধ ‘এইজাও’ তৈরি করা হয়। সুপ্রাচীন যুগ থেকে এই ওষুধ ব্যবহার করে আসছেন চৈনিক গবেষকরা। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে বলেই মনে করেন তাঁরা।

    পাকিস্তানের গাধা আমদানি কেন?

    গাধার সংখ্যার নিরিখে বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তান। বর্তমানে এখানে এই পশুটির সংখ্যা ৫.৭ মিলিয়ন। গত বছর পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে গাধার প্রজননের জন্য ফার্ম খুলেছে পাক সরকার। প্রায় তিন হাজার একর জমিতে গড়ে উঠেছে ওই প্রজনন কেন্দ্র। উল্লেখ্য, এর আগেও চিনকে গাধা রফতানি করেছে ইসলামাবাদ। যদিও আফ্রিকার একাধিক দেশ পাকিস্তান থেকে গাধা আমদানি বর্তমানে বন্ধ রেখেছে।
  • Link to this news (এই সময়)